আগস্ট মাসে ২৫৯ নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮৫ জন। ৩৮ জনের বয়স ১৮ বছরের কম। গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৩ জন নারী ও শিশু। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ০২ জনকে। ৯৫ জন নারী ও কন্যা শিশু যৌন নিপীড়ণের শিকার হয়েছেন তন্মধ্যে শিশু ৫৬ জন। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ০৫ জন নারী এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ০৯ জন ও আত্মহত্যা করেছেন ০১ জন। সম্প্রতি মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) আগস্ট মাসের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এইচআরএসএস এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন ৩৯ জন, আহত হয়েছেন ১২ জন এবং আত্মহত্যা করেছেন ১২ জন নারী। এসিড সহিংসতার শিকার হয়েছেন ০১ জন নারী। ১৮৪ জন শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন যাদের মধ্যে ৪৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১৩৮ জন শিশু শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
এ মাসে সাংবাদিকদের উপর ২৪ টি হামলার ঘটনায় ঘটেছে। এর মধ্যে ৩৮ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্ততপক্ষে ২৩ জন, লাঞ্ছনার শিকার হয়েছে ১১ জন, হুমকির শিকার হয়েছে ০৩ জন ও গ্রেফতার করা হয়েছে ০১ জনকে।
এ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এর অধীনে দায়ের করা ৪টি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ৩ জন ও অভিযুক্ত হয়েছেন ৫ জন।
এ মাসে “গণপিটুনির” ১০ টি ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫ জন এবং আহত হয়েছেন ১৩ জন।
এছাড়া রাজনৈতিক সহিংসতার ৭৪টি ঘটনা ঘটেছে। এতে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬ জন, আহত হয়েছেন ৮৭৮ জন। যার অধিকাংশই ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের অন্তর্কোন্দল এবং বিএনপির পদযাত্রা ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের পাল্টা শান্তি সমাবেশ কেন্দ্রিক সংঘর্ষে ঘটন। এছাড়াও জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাইদীর জানাযা কেন্দ্র করে রাজধানীরসহ কয়েকটি জেলায় তার সমর্থকদের সাথে আওয়ামীলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে ১ জন নিহত, বেশ কিছু মানুষ আহত ও গ্রেপ্তার হন। তাছাড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির দ্বারা ৫০১ জন রাজনৈতিক গ্রেফতারের শিকার হয়, তন্মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের ৪৯৪ জন।
এ মাসে, বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ২৭টি রাজনৈতিক মামলায় ১০৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ১১০৯৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের দ্বারা বিরোধাীদলীয় ১৪ টি সভা-সমাবেশ আয়োজনে বাধা প্রদানের ঘটনা ঘটেছে। এসময় তাদের সাথে সংঘর্ষে ৪৩৫ জন আহত এবং সমাবেশ কেন্দ্রিক ৪৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও নির্বাচনী সহিংসতার ৬ জন আহত হয়েছেন।
Leave a Reply