বাগেরহাট প্রতিনিধি ::বাগেরহাটে অনুমোদনহীন কারখানায় ভেজাল আইসক্রিম তৈরি ও বাজারজাত করার অপরাধে তাছলিমা বেগম নামে এক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের নাগের বাজার এলাকায় ওই ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান এই জরিমানার আদেশ দেন।
অনুমোদনহীন কারখানায় ক্ষতিকর রং দিয়ে আইসক্রিম তৈরি, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বিভিন্ন দামি ব্রান্ডের প্যাকেটে অস্বাস্থ্যকর আইসক্রিম প্যাকেট করে বাজারজাত করার অপরাধে এই জরিমানা করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন না নেওয়া পর্যন্ত কারখানাটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আইসক্রিম কারখানার কয়েকটি ফ্রিজে থাকা বিপুল পরিমাণ আইসক্রিম ও পেপসি গাড়ির চাপায় পিস্ট করে ধ্বংস করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাগেরহাট শহরের স্টেডিয়ামের পেছনে একটি টিনসেড ঘরে অবস্থিত কারখানাটির কোনো নাম নেই। ভেতরে কয়েকটি ফ্রিজ, পানির ট্যাংকি ও বেশকিছু মেশিনারিজ। পানির ট্যাংকিতে ময়লাযুক্ত পানি। এখান থেকেই প্রতিদিন ভোরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্যান ও অন্যান্য গাড়িতে করে আইসক্রিম পাঠানো হয়। ওই ঘর থেকে কিছুদূরে জালঘর নামে আরেকটি ঘরে বিপুল পরিমাণ আইসক্রিম থাকলেও, ব্যবসায়ী তাছলিমা বেগম ওই ঘরের তালা খুলতে রাজি হননি। পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তালা ভেঙ্গে সেখানে বিপুল পরিমাণ আইসক্রিম পাওয়া যায়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, ফ্যাক্টরিটির কোনো অনুমোদন নেই। তাদের উৎপাদিত আইসক্রিম ও ললি আইসক্রিমে কোনো উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ছিল না। ক্ষতিকর রং দিয়ে তারা আইসক্রিম তৈরি করত, যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ক্ষতিকর পণ্য উৎপাদন ও বাজার জাতের অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে তাছলিমা বেগমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে যতদিন তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ফ্যাক্টরির অনুমোদন না নিতে পারবেন, ততদিন পর্যন্ত তাকে ফ্যাক্টরি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply