নিজস্ব প্রতিনিধি::খুলনা মহানগরীতে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের ফলাফল অবহিতকরণের লক্ষ্যে এক সভা বুধবার সকালে নগর স্বাস্থ্য ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। ইউএস সিডিসি-এর অর্থায়নে নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সেভ দ্যা চিলড্রেন-বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগিতায় কেসিসি’র স্বাস্থ্য বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদার-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব) লস্কার তাজুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে কেসিসি’র সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে তিনি নাগরিক সচেতনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি নিজ নিজ বাড়ির আঙ্গিনা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিভাগীয় সহকারী স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. ফেরদৌস আক্তার, সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ও কেসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোঃ আনিসুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন কেসিসি’র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শরীফ শাম্মীউল ইসলাম, প্রকল্পের পাবলিক হেলথ এপিডেমিওলজিস্ট ডা. মোহাম্মদ সাইমন প্রমুখ।
সভায় খুলনা মহানগরীর নির্বাচিত এলাকায় কমিউনিটি সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ডেঙ্গু সংক্রমন হ্রাস সম্পর্কিত জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়।
এর আগে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম ক্ষুদে ডাক্তার কর্তৃক শিক্ষাথীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম পালন উপলক্ষে আয়োজিত এডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। আগামী ১৭ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্ষুদে ডাক্তার কর্তৃক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। কেসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদার-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগের সহকারী স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. ফেরদৌস আক্তার, সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, ইসলামী ফাউন্ডেশন-খুলনার সহকারী পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম, সদর থানা শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহজাহান, কেসিসি’র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শরীফ শাম্মীউল ইসলাম, সহকারী থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেক্সনা আক্তার, কনিকা রানী, নুসরাত ঝুমুর, মঞ্জুরুল আলম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, খুলনা মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ১শ ৩৬টি প্রাথমিক, ১শ ২০টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ মাদরাসাসমূহের ৭৬ হাজার শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
Leave a Reply