নিজস্ব প্রতিবেদক::পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় সন্ত্রাসীদের হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন।
রোববার দেশটির উত্তরাঞ্চলে পৃথক হামলায় প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে দুজন সেনাসদস্যও রয়েছেন।
এ ছাড়া হামলার পর নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৬০ জনকে অপহরণ করেন বন্দুকধারীরা।
সোমবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীরা দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জামফারা প্রদেশে আটজনকে হত্যা এবং পরে অন্তত ৬০ জনকে অপহরণ করে বলে বাসিন্দা ও স্থানীয় এক নেতা জানিয়েছেন।
সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রদেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েক ডজন ব্যক্তিকে অপহরণ করার দুদিন পর এ ঘটনা ঘটল।
অন্যদিকে দেশের উত্তর-পূর্বে সন্দেহভাজন ইসলামপন্থি বিদ্রোহীরা সামরিক নিরাপত্তার অধীনে থাকার গাড়ির কনভয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে দুই সৈন্য ও চারজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন বলে পুলিশের একটি সূত্র এবং হামলার প্রত্যক্ষদর্শী একজন গাড়িচালক জানিয়েছেন।
রয়টার্স বলছে, প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু এখনো স্পষ্ট করে বলতে পারেননি কীভাবে তিনি তার দেশের এই ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতা মোকাবিলা করবেন। ব্যয়বহুল জ্বালানি ভর্তুকি অপসারণসহ তার অর্থনৈতিক সংস্কার পরিকল্পনা মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়েছে এবং এটি কার্যত দেশটির নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।
বাসিন্দারা জানান, রোববার ভোরে বন্দুকধারীরা জামফারার গ্রামীণ মাগামি সম্প্রদায়ের একটি সেনাঘাঁটিতে আক্রমণ করার চেষ্টা করে, কিন্তু তা ব্যর্থ হয়ে যায়।
জামফারা প্রদেশটি স্থানীয়ভাবে ডাকাত নামে পরিচিত সশস্ত্র গ্যাং সদস্যদের তাণ্ডবে কার্যত বিপর্যস্ত। সন্ত্রাসীরা সেখানে মুক্তিপণের জন্য সাধারণ মানুষকে অপহরণ করে থাকেন।
নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা বলেন, তিনটি দলে থাকা বন্দুকধারীরা সেনাঘাঁটি এবং মাগামি ও কাবাসার সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালায়। তিনি বলেন, ৬০ জনকে অপহরণ করা হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মতে, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি জঙ্গিগোষ্ঠী বোকোহারাম ও আইএস (ইসলামিক স্টেট) পশ্চিম আফ্রিকা শাখার সদস্যরাও নিয়মিত এসব অপরাধমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ বছর ধরে নাইজেরিয়াভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী বোকোহারাম ও আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
Leave a Reply