নিজস্ব প্রতিনিধি::খুলনা মহানগরী এলাকায় ড্রেন ও রাস্তার চলমান উন্নয়ন কাজ অসময়ে বৃষ্টির মতো প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বিলম্বিত হচ্ছে। মানসম্মত নির্মাণ কাজের জন্য নগরবাসীকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। নির্মাণাধীন ড্রেনের স্থানে সরকারি জায়গায় কোন ব্যক্তিগত স্থাপনা থাকলে নগরের উন্নয়ন ও জনগণের স্বার্থে তা দ্রæত সরিয়ে নিতে হবে।
বুধবার দুপুরে নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক একথা বলেন। অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম নতুন মেয়রকে দায়িত্ব বুঝে দেন।
সিটি মেয়র বলেন, করোনাকালে অসহায় মানুষদের সরকারি খাদ্য সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সবাই একত্রে কাজ করার ফলে জনগণের কষ্ট বহুলাংশে লাঘব হয়েছিলো। পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন শহর পেতে নগরবাসীকে সচেতন হতে হবে। বাড়ির ময়লা নির্ধারিত স্থানে ফেলতে হবে। নাগরিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে মেয়র নির্বাচনের পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনা নগরীর রাস্তাগুলোর উন্নয়নে ৬০৭ কোটি টাকা এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও খাল সংস্কারের জন্য ৮২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন। সে সকল কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। আগামীতে নগরীর যানজট নিয়ন্ত্রণে নিয়ম ও আইনের অধীনে প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে। অতিশিঘ্রই ময়ুর নদের উপরে চারলেন বিশিষ্ট ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। মানসম্মত উন্নয়ন কাজের জন্য জনগণকে সজাগ হতে হবে। কোন অনিয়ম হলে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম মিরাজুল ইসলাম, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহসহ সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধি, কেসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মেয়র ও কাউন্সিলররা নগর ভবনের চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
Leave a Reply