পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি::খুলনার পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী সরল খাঁ দীঘির শেওলা ও আগাছা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন। এর মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী দীঘিটির পুরাতন ঐতিহ্য ফিরিয়ে আসবে এবং দীঘিটিই হবে পৌরসভার চিত্তবিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। বৃহস্পতিবার সকালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজের উদ্বোধন শেষে এমন সম্ভাবনার কথা জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র শেখ মাহাবুবর রহমান রনজু, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা লালু সরদার, কাউন্সিলর মোঃ আব্দুল গফফার মোড়ল, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা লতিফা আখতার, উপজেলা ভূমি অফিসের প্রধান সহকারী আব্দুল বারী, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজ, মাওলানা আব্দুল মান্নান, আব্দুর রাজ্জাক সরদার, আব্দুল্লাহেল বাকী ও মিনারুল ইসলাম। উল্লেখ্য, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের সরল এলাকায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী সরল খাঁ দীঘি। দীঘিটি প্রায় ৫শ বছরের পুরাতন। এলাকায় প্রচলিত আছে তৎকালীন সময়ে হযরত খানজাহান আলী (রহঃ) এর অনুসারী পীর সরল খাঁ দীঘিটি খনন করেন। পীর সরল খাঁ এবং দীঘিটি ঘিরেই রয়েছে পাইকগাছার ইতিহাস ও ঐতিহ্য। বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়, সরল খাঁ’র নামেই নামকরণ হয় সরল গ্রাম। তার পাইক পেয়াদাররা গাছে নৌকা বাঁধতো সেখান থেকেই নাম হয় পাইকগাছা। দীঘির পাশেই যেখানে বাদী-দাসীরা বাস করতো। এখানকার নাম হয় বান্দিকাটী গ্রাম। যেখানে গোশালা ছিল সেখানকার নাম হয় ঘোষাল। লোক লস্কর যেখানে থাকতো সেখানকার নাম হয় লস্কর। এভাবেই সরল খাঁ এবং সরল খাঁ দীঘিকে ঘিরেই রয়েছে পাইকগাছার ইতিহাস ও ঐতিহ্য। এছাড়া তৎকালীন সময়ে এই দীঘির পানি পান করে অসংখ্য মানুষ রোগ বালাই থেকে মুক্তি পেয়েছে বলে এলাকায় প্রচলন রয়েছে। ১৫ বিঘা আয়তনের দীঘিটি দীর্ঘদিন সংস্কার ও পরিচর্যার অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শেওলা ও আগাছায় ভরে গেছে গোটা দীঘিটি। দীঘিটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার পর সংস্কার করে চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও মুহাম্মদ আল-আমিন। উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী দীঘিটিতে একটি দৃষ্টিনন্দন পার্ক করার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
Leave a Reply