নিজস্ব প্রতিবেদক::অব্যাহত বিমান হামলা, স্থল লড়াই আর ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মাঝে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ও ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের সংবাদ পরিবেশন সাংবাদিকদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক করে তুলেছে। শনিবার সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) বলেছে, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে এক সপ্তাহে অন্তত ১১ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
সংগঠনটি বলছে, নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে ৯ জন ফিলিস্তিনি, একজন লেবানন এবং একজন ইসরায়েলি বংশোদ্ভূত। এছাড়া যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহের সময় ইসরায়েলি এক সাংবাদিক নিখোঁজ এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
চলমান যুদ্ধে গাজা উপত্যকায় অথবা এর কাছের এলাকায় নিহত, আহত এবং নিখোঁজ অন্যান্য সাংবাদিকদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই সংগঠন। সিপিজে বলছে, শুক্রবার লেবাননে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর গোলার আঘাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একজন ভিডিওগ্রাফার নিহত এবং আরও কমপক্ষে ৬ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের মধ্যপ্রাচ্য সমন্বয়ক শেরিফ মনসুর বলেছেন, গাজার সাংবাদিকরা সেখানকার তথ্য সংগ্রহ এবং প্রকাশের চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের যুদ্ধের ময়দান থেকে সরিয়ে নেওয়া এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যাপক লড়াই করছেন।
তিনি বলেন, ইসরায়েলি হামলায় অনেক সাংবাদিক তাদের বাড়িঘর এবং অফিস হারিয়ে ফেলেছেন। বর্তমানে অনেকে হাসপাতালে থেকে কাজ করছেন। কারণ সাংবাদিকের কাজের জন্য এখন এটাই একমাত্র জায়গা; যেখানে তারা বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে পারেন।
সিপিজে বলছে, গাজার সাংবাদিকরা চলমান বিমান হামলার মাঝে সংবাদ সংগ্রহ এবং পরিবেশনে উচ্চ ঝুঁকির মুখোমুখি হয়েছেন।
শেরিফ মনসুর বলেন, সাংবাদিকরা সংকটের সময় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। বেসামরিক ব্যক্তি এবং যুদ্ধরত পক্ষগুলোর সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা উচিত নয়। সাংবাদিকরা এই গুরুত্বপূর্ণ সংঘাতের খবর পরিবেশনের জন্য অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক ত্যাগ স্বীকার করছেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সবপক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সুত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট, আনাদোলু।
Leave a Reply