নিজস্ব প্রতিবেদক::বিএনপি নেতাদের রাজনৈতিক কারণে নয়, বরং অপরাধজনিত সংশ্লিষ্টতায় ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। রোববার (৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে এদিন পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সঙ্গে বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী। বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভাকক্ষে বৈঠক করেন। বেঠক শেষ হলে নিজ কক্ষে যাওয়ার সময় করিডোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে চলমান নানা ইস্যু নিয়ে কথা হয় মন্ত্রীর।
সাংবাদিকরা পুলিশ মহাপরিদর্শকের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য এসেছিলেন আইজিপি। এ সময় আমরা আমাদের সব ব্যাপারে আলোচনা করেছি।
এ সময় বিরোধী দল বিএনপি নেতাদের নামে মামলা সংক্রান্ত ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না―এমন প্রশ্ন করা হলে কোনো জবাব দেননি আইনমন্ত্রী। তবে দলটির নেতাদের ধর-পাকড়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমার মনে হয় আপনারা এ প্রশ্নের জবাব সঠিকভাবে যেখানে পাবেন, তা হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তিনি আরও বলেন, কোনো রাজনৈতিক কারণে তাদের ধরা হয়নি, তাদের অপরাধজনিত সংশ্লিষ্টতায় ধরা হয়েছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সংযোগ নেই।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশে সহিংসতার ঘটনায় পরের দিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। ওইদিন সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা সরকার পতনের একদফা দাবিতে হরতাল পালন করে বিএনপি। এরপর ৩১ অক্টোবর রাতে শহীদবাগে অভিযান চালিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
এদিকে শনিবার (৪ নভেম্বর) রাতে অভিযোগ উঠে, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে আটক করা হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে রাত ৮টার দিকে তাকে আটক করে নিয়ে গেছে ডিবি পুলিশ।
পরদিন, অর্থাৎ রোববার (৫ নভেম্বর) সকালে টঙ্গীতে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
Leave a Reply