1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২২ অপরাহ্ন

পাইকগাছায় ঘাসের ডগায় শিশির কণা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা

  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

পাইকগাছা (খুলনা)::ঋতু পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতি সাজে ভিন্নরূপে। ইতোমধ্যে হেমন্ত প্রকৃতিতে প্রভাব ফেলেছে সেই সাথে শেষ রাতে জানান দিচ্ছে শীত এসে যাচ্ছে। অন্যান্য ঋতুর চেয়ে শীতের আগমন যেন এক ভিন্ন মাত্রা।এরই মধ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চল খুলনার পাইকগাছায় মিলছে শীতের আগমনী বার্তা।ভোরের স্নিগ্ধ শিশিরে মিলছে শীতের আবেশ। পুর্ব আকাশে সূর্য যখন উঁকি দিচ্ছে, ঘন কুয়াশার চাদরে তখন ঢাকা পড়ছে ভোরের সেই সোনারাঙা রোদ।বিকেল সাড়ে পাঁচটা বাজতেই পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়ছে রক্তিম সূর্য। অলস বিকেলের গোধূলী লগ্ন পেরিয়ে জলদিই নেমে আসছে সন্ধ্যা।আর ভোরের আলো ফুটতেই স্নিগ্ধ শিশিরে ভেজা সবুজ ধানের পাতাগুলো নুয়ে পড়ছে বাতাসে। এই মুক্তো ঝরা শিশিরে হেমন্তেই হাতছানি দিচ্ছে শীত।আবহমান বাংলার সবুজ-শ্যামল প্রকৃতিতে আবারও শুরু হয়েছে ঋতুর পালাবদল। আবারও পাল্টাচ্ছে প্রকৃতি ও জীবন। ছয়ঋতুর বঙ্গাব্দ বর্ষপঞ্জিতে এখন চলছে কার্তিক মাস।কার্তিক-অগ্রহায়ণ এ দুই মাস বাংলায় হেমন্তকাল। আর হেমন্তকে বলা হয় অনুপম ও অপরূপ রূপের ঋতু। যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার মানুষের সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্না। এ ঋতুতেই স্বপ্ন দেখেন বাংলার কৃষক-কৃষাণী। সকালের শিশির ভেজা ঘাস আর হালকা কুয়াশায় প্রকৃতিতে বেজে ওঠে শীতের আগমনী বার্তা। মাঠের পাকা সোনালি ধান, কৃষকের ধান ঘরে তোলার দৃশ্য, কৃষক-কৃষাণীর আনন্দ সবই হেমন্তের রূপের অনুষঙ্গ। প্রকৃতিতে এখনই টের পাওয়া যাচ্ছে শীতের স্পর্শ। প্যাচপ্যাচে গরম যেন যাইযাই করছে। কয়েক দিনের কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে পদধ্বনি পাওয়া যাচ্ছে শীতের।কার্তিকের স্নিগ্ধ সকালের শিউলি ঝরা প্রকৃতিতে এখনই ছড়িয়েছে শীতের বারতা। পাখির কিচিরমিচির শব্দে রক্তাভ আকাশে সূর্য উঁকি দিতেই শিশির ছড়াচ্ছে সবুজ দূর্বাঘাসে। নিগূঢ় রাতের আড়মোড়া ভেঙে ভোরের আলো ফুটতেই শিশিরবিন্দুগুলো আটকা পড়ছে ধানক্ষেতের মাকড়সার জালে। আর শীষের ডগায় জমা শিশিরগুলো যেন মুক্ত দানার মতো দ্যুতি ছড়াচ্ছে। হয়ে উঠেছে সবুজ প্রকৃতির প্রতিবিম্ব।শ্যামল এই প্রকৃতিতে ম ম করছে মল্লিকা, শিউলি, কামিনী আর ছাতিম ফুলের মিষ্টি সৌরভ। কুয়াশার আঁচল সরিয়ে যখন ঝিরিঝিরি উত্তুরে বাতাস বইছে শরীরে তখন ছড়িয়ে পড়ছে শীতের হিম স্পর্শ। আর সেই পরশেই হিমেল হয়ে উঠেছে কার্তিকের ছোট্ট সকাল। কমছে অসহ্য গরম। ভোরে ও সন্ধ্যায় হালকা কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে গ্রাম ও শহরের প্রকৃতি। শেষ রাতের হিমেল পরশ আর সকালের নরম রোদের আবেশ জানান দিচ্ছে- হেমন্তের হাত ধরেই ধীর পায়ে আসছে শীত।ভোররাতে হাতে সেলাই করা রঙিন নকশি কাঁথা, কম্বল বা চাদর গায়ে মুড়ি না দিলে যেন উষ্ণতা মিলছে না। ঘুমন্ত শরীরটাও যেন ওম চাইছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
Theme Customized By BreakingNews