আন্তর্জাতিক ডেস্ক::ইসরাইলি মন্ত্রিসভা বুধবার সকালে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করেছে। এর ফলে আগামী চার থেকে পাঁচ দিন গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। এই সময়ে গাজার প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস তাদের হাতে আটক প্রায় ৫০ বন্দীকে মুক্তি দেবে।
অন্যদিকে ইসরাইল তাদের কারাগারগুলোতে আটক ১৫০ থেকে ৩০০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে। এরা হবে মূলত নারী ও শিশু। তারা পশ্চিম তীর এবং জেরুসালেমের বাসিন্দা। অধিকন্তু চুক্তি অনুযায়ী গাজায় আরো বেশি জ্বালানি এবং অন্যান্য সামগ্রী প্রবেশ করতে দেয়া হবে। এই সময় গাজার আকাশে ইসরাইলের কোনো ড্রোন বা বেলুন থাকতে পারবে না।
ইসরাইলি মন্ত্রিসভার ৩৮ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র তিনজন এর বিরোধিতা করে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী, শিন বেইত, মোশাদও এই চুক্তি সমর্থন করেছে।
চুক্তির বিবরণ হামাস এক টেলিগ্রাম বার্তায় পোস্ট করেছে। এখানে তা দেয়া হলো।
* ইসরাইল এ সময়ে গাজা উপত্যকার সকল এলাকায় সামরিক তৎপরতা বন্ধ রাখবে, এমনকি সামরিক যানবাহনও নড়াচড়া করবে না।
* চিকিৎসা এবং জ্বালানি নিয়ে শত শত মানবিক সহায়তাবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের সুযোগ দেয়া হবে।
* দক্ষিণ গাজায় চার দিন পর্যন্ত কোনো ড্রোন উড়বে না। উত্তর গাজায় প্রতিদিন স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা ড্রোন উড়া বন্ধ থাকবে।
* যুদ্ধবিরতির সময়ে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় কোনো হামলা চালাতে পারবে না বা কাউকে কোনো এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে পারবে না।
* সালাহউদ্দিন স্ট্রিটে চলাচলের স্বাধীনতা থাকবে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়ে হামাস এবং অন্যান্য গ্রুপ এসব লোককে গাজায় নিয়ে আসে। হামাস জানিয়েছে, প্রায় ২৪০ জন বন্দীর মধ্যে তাদের কাছে আছে ২১০ জন।
এদের মধ্যে প্রায় ৪০ জন শিশু। গাজার ইসলামিক জিহাদ বলেছে, তাদের কাছে বাকি বন্দীদের বেশ কয়েকজন রয়েছে। আর গাজায় এরপর থেকে হামাসের হামলায় ১৪ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছে। সূত্র : আল জাজিরা এবং অন্যান্য
Leave a Reply