নিজস্ব প্রতিনিধি::বর্তমান সরকারের দৃঢ়তার কারণে প্রতিবন্ধীরা এখন আর অবহেলিত নয়, তাঁরা দেশ ও সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাঁরা আমাদের সম্পদ। আমাদের কাজ হলো তাঁদের প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করা। সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণে অত্যন্ত আন্তরিক। তাঁদের জীবনমান উন্নয়নে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি, সমন্বিত শিক্ষা কার্যক্রম, বিশেষ শিক্ষা কার্যক্রম, থেরাপিসেবা, সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়মিত বাস্তবায়ন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিবন্ধী শিশুর প্রতি অভিভাবকদেরও যতœশীল হতে হবে।
৩২তম আন্তর্জাতিক ও ২৫তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষ্যে রবিবার সকালে খুলনা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথিরা এসকল কথা বলেন। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাথে সম্মিলিত অংশগ্রহণ, নিশ্চিত করবে এসডিজি অর্জন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক অনিন্দিতা রায়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মীর আলিফ রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক সমীর মল্লিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) এস এম আল-বেরুনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবির ও সরদার মাহাবুবার রহমান। স্বাগত বক্তৃতা করেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক খান মোতাহার হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্পিচ এন্ড ল্যাংগুয়েজ প্যাথলজিস্ট এন্ড স্পেশাল এডুকেটর এর শারমিন জাহান। অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধী নূর মোহাম্মদ এবং মোঃ আরিফুল ইসলাম বক্তৃতা করেন। খুলনা জেলা প্রশাসন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সভায় জানানো হয়, খুলনা জেলা সমাজসেবা দপ্তরের মাধ্যমে ৫০ হাজার ৯৮৭ জন প্রতিবন্ধীকে সুবর্ণ নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে সুবর্ণ নাগরিক পরিচয়পত্র প্রদান অব্যাহত রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সারাদেশে প্রতিবন্ধী ভাতার উপকারভোগী রয়েছেন প্রায় ২৯ লাখ। খুলনা জেলায় উপকারভোগীর সংখ্যা ৩৮ হাজার ৬৪৬ জন। সারাদেশে শিক্ষা উপবৃত্তির আওতায় রয়েছে এক লাখ জন এবং খুলনা জেলায় প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি পাচ্ছেন সাতশত ২৭জন।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা ১৫ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মাঝে হুইল চেয়ারসহ বিভিন্ন সহায়ক উপকরণ বিতরণ করেন। এর আগে দিবসটি উপলক্ষ্যে নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড় থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
Leave a Reply