নিজস্ব প্রতিবেদক::আগামী সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে এবার বড় একটি অংশ মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন। সারাদেশে মোট ৭৩১টি মনোনয়ন বাতিল করেছেন সংশ্লিষ্ট আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এখন প্রার্থিতা ফেরত পাওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে আপিল করছেন প্রার্থীরা।
গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) পর্যন্ত মোট ৩৩৮টি আপিল আবেদন জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনে স্থাপিত বুথে।
নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনে ১৫৫ জন আপিল আবেদন করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট আপিলকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩৮ জন।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকা অঞ্চলে ২৬ জন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ১১ জন, ফরিদপুরে চার জন, সিলেটে নয় জন, ময়মনসিংহে আট জন, বরিশালে চার জন, খুলনায় ১৭ জন, রাজশাহীতে ১৭ জন, কুমিল্লায় ৩৩ জন ও রংপুরে ২৪ জন আপিল আবেদন করেছেন।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিল করা মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিল করা মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।
আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। আর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।
যদিও মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীদের অভিযোগ ঠুনকো কারণে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। বিশেষ করে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের জটিলতায় বিপদে পড়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। কেউ কেউ এই পদ্ধতি তুলে দেওয়ারও দাবি করছেন।
এদিকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি।
Leave a Reply