দাকোপ প্রতিনিধি::কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়াই দাকোপে উৎসব মুখর পরিবেশে ও শান্তি শৃংঙ্খলার সাথে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত উপজেলার চালনা পৌরসভাসহ ৯টি ইউনিয়নের ৪৯টি ভোট কেন্দ্রের ৩০৭টি বুথে ৩০৭টি বুথে বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দাকোপে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৯শত ৮০ জন ভোটার। এই নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থী ৪ জন। আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী ননী গোপাল মন্ডল (নৌকা) প্রতীক, তৃণমূল বিএনপির মনোনিত প্রার্থী গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক (সোনালী আঁধ) প্রতীক, জাতীয় পার্টি মনোনিত প্রার্থী কাজী হাসানুর রশিদ (লাঙ্গল) প্রতীক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. প্রশান্ত কুমার রায় ( ঈগল) নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছেন।
সকাল ৮ টায় কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নের রামনগর বীনা পানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে নিজের ভোটটি প্রদান করে জয় সুচক দেখান এ আসানের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ননী গোপাল মন্ডল। তিনি বলেন, আমি শতভাগ বিশ^াসী এ অবাদ সুষ্ঠ নির্বাচনে আমি বিজয়ী হবো।
সকাল সাড়ে ৯ টায় খুটাখালি নতুন বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় বেশ কিছু মহিলা ভোটারের উপস্থিতি। একাই চিত্র ছিলো সকাল সাড়ে ১১ টায় চালনা কেসি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে। সব মিলিয়ে বেলা ১১ টা পর্যন্ত সব কেন্দ্রেই ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ারমত। সকাল ৮ টা ৪২ মিনিটে রাম নগর বীনা পানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে ভোট কাস্ট হয়ে ছিলো ১১.৩৪ ভাগ, সকাল সাড়ে ৯ টায় লাউডোব এম এন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে ২৯ ভাগ ভোট কাস্ট হয়েছিল। দুপুর সাড়ে সাড়ে ১২ টায় খোনা খাটাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে ভোট কাস্ট ৩১ ভাগ। বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ঈগল প্রতীকের এজেন্টদের উপস্থিতি দেখা যায়নি। অপর দিকে জাতীয় পার্টির নাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে কোন কেন্দ্রেই এজেন্টদের উপস্থিতি না দেখা গেলেও কিছু ভোট কেন্দ্রে তৃণমুল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের এজেন্টদেরকে দেখা গেছে।
নির্বাচন পরিচালনার সহকারী রির্টানি অফিসার ও দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী জানান,নির্বাচন শান্তি শৃংঙ্খলা পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে বেশ কয়েক স্তরের আইন শৃংঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য পুলিশ, আনসার ভিডিপি সদস্যদের মোতায়ন করা হয়। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী মোতায়ন ছিলো চোখে পড়ার মতো। পৃথক পৃথক ভাবে প্রতিটি ভোট কেন্দ্র টহল ও পর্যবেক্ষনে ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা।
Leave a Reply