1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:২১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
তিন ইসরায়েলিকে মুক্তির পর ১৮৩ ফিলিস্তিনির মুক্তি পতিত সরকারের রেখে যাওয়া ভঙ্গুর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে-প্রধান উপদেষ্টা ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’: সারাদেশে ১৩০৮ জন গ্রেফতার ধানমন্ডি ৩২ ভবনের বেজমেন্টে পানি সেচে পাওয়া গেলো না কিছুই বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন বটিয়াঘাটায় পূবালী ব্যাংকে ইসলামী ব্যাংকিং কর্ণারের উদ্বোধন যৌথ বাহিনীর অভিযানে নোয়াখালীর হাতিয়ায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীসহ ৫ জন আটক বাগেরহাটে শেখ হেলাল, তন্ময়. বাদশাসহ ৩৫ জনের নামে মামলা, সাবেক এসপি কারাগারে খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ২৭ বছর পর দিল্লির মসনদে বসছে বিজেপি

পাঁচ মাস পর বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া

  • প্রকাশিত: বুধবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক::পাঁচ মাসেরও বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসায় ফেরার শিডিউল রয়েছে।

গত ৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন। এরপর থেকে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নেতৃত্বে ২৬ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের যকৃতে ‘ট্র্যান্সজাগুলার ইন্ট্রাহেপেটিক পোরটোসিসটেমিক শান্ট (টিপস)’ প্রক্রিয়ায় অস্ত্রোপচার করা হয়। টিপস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার দুটি রক্তনালীর মধ্যে একটি নতুন সংযোগ তৈরি করেন চিকিৎসকরা।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা চিকিৎসকরা হলেন- ডা. হামিদ আহমেদ আব্দুর রব, ডা. ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস ও ডা. জেমস পিটার অ্যাডাম হ্যামিলটন। তারা তিনজনই বিশ্বখ্যাত মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় জনস হপকিন্সের চিকিৎসক।

এর আগে হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ১০ জুন দিনগত রাত পৌনে তিনটার দিকে খালেদা জিয়াকে জরুরি ভিত্তিতে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। প্রায় দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ২৪ জুন সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন তিনি। এর ঠিক দেড় মাস পর গত ৯ আগস্ট আবারও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

‘বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিতে হবে’- এ দুই শর্তে অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তিতে রয়েছেন খালেদা জিয়া।

২০২০ সালের ২৫ মার্চ ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর’-এর ধারা-৪০১ (১)-এর ক্ষমতাবলে সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রথমবারের মতো শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। এরপর দফায় দফায় বাড়ে তার মুক্তির মেয়াদ। সবশেষ গত ১৮ সেপ্টেম্বর শর্ত অপরিবর্তিত রেখে আরও এক দফা তার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনে সায় দেয় সরকার।

৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ ছিলেন। এরমধ্যে তিনি করোনাভাইরাসেও আক্রান্ত হন। তিনি আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়।

ওই বছরের ৩০ অক্টোবর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলে আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার সাত বছরের সাজা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
Theme Customized By BreakingNews