বাগেরহাট প্রতিনিধি ::বাগেরহাটের দুই তরুনীকে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে মোঃ শাকিল সরদার (২৫) নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফকিরহাটের জারিয়া এলাকা থেকে শাকিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে নির্যাতিত ২১ বছর বয়সী এক তরুনী বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় দুইজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। অপর আসামী মেহেদী হাসান (২০) পলাতক রয়েছে।
গ্রেপ্তার শাকিল সরদার ফকিরহাট উপজেলার জারিয়া-চৌমাথা এলাকার মোস্তাব সরদারের ছেলে। সে ফকিরহাট সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। অন্য আসামী মেহেদী হাসান একই এলাকার সেখ মাসুমমেল হকের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানাযায়, শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে দুই বান্ধবী চাচাতো ভাই ও তার বন্ধুর সাথে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঘুরতে যায়। পরে সেখান থেকে রাত ১১টার সময় খানজাহান আলী মাজারে ঘুরতে যায়। আনুমানিক রাত ১২টা ১০ মিনিটে খুলনার দিকে রওনা দেয়। পরে ফকিরহাটের জারিয়া চৌমাথা এলাকায় গতিরোধক অতিক্রম করার সময় শাকিল সরদার এক তরুনীর ওড়না টেনে ধরে।এতে ওই তরুনী ও তার বন্ধু রাস্তার উপর পড়ে যায়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে অন্য মোটরসাইকেলের চালক ও তরুনী মোটরসাইকেল থেকে নেমে যায়। মোটরসাইকেলের তরুণ-তরুনীরা কোন কিছু জানতে চাওয়ার আগেই শাকিল ও মেহেদী তাদেরকে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে শাকিল ও মেহেদী ওই তরুনীদেরকে পার্শ্ববর্তী স্বপন দেবেনাথের চায়ের দোকানের ভিতরে নিয়ে যায়। একজনকে চায়ের দোকানের বেঞ্চির উপর এবং অন্য জনকে পাশ্ববর্তী প্রশান্ত ব্যানাজির্র সেড দোকানের পিছনে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে ধর্ষনকারীরা দুই তরুনী ও তরুণকে পার্শবর্তী জারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে আবারও ধর্ষন করা হয়। এক পর্যায়ে তরুনীদের সাথে থাকা এক তরুন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। শাকিল ও মেহেদী তরুন-তরুনীদের কাছে থাকা নগদ টাকা’ ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার কতা কাউকে না বলার জন্য হুমকী-ধামকী দিয়ে তাদেরকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এর মধ্যে আগে পালিয়ে যাওয়া তরুণ ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশকে জানায়। পরবর্তীতে রবিবার (১৪ জানুয়ারি) বাড়ি থেকে তরুণীদেরকে উদ্ধার করে।
ফকিরহাট উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক শরিফুল ইসলাম শরীফ বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিষয়টি অধীনস্থ সকল ইউনিটকে জানানো হবে। এছাড়া এ ঘটনায় যেহেতু মামলা হয়েছে, আইনগতভাবেই বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করি।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ধর্ষণের শিকার তুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। দুইজনকে জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে শাকিল সরদার নামের একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়ার শেষে শাকিল সরদারকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।অপর আসামী মেহেদী হাসানকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply