1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
‘স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ হবে না’ খবরটি সত্য নয়-প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাল জরুরি বৈঠকে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা বাগেরহাটে নারী, শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন বাগেরহাটে ঈদ উপহার পেল ১২০ দরিদ্র পরিবার খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হাতিয়ায় কোস্টগার্ডের নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক ২ বেনাপোলের বড় আঁচড়া পূর্বপাড়ার একমাত্র রাস্তাটি চলাচলে সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে চাল আমদানির সময় বাড়ল আরো ও একমাস বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৪ মাসে ১৮,৮০০মেট্রিক টন চাল আমদানি বাগেরহাট ফিল্ম সোসাইটির বনি সভাপতি ও রোমেল সম্পাদক নির্বাচিত দাকোপে বিএনপির উদ্যোগে মতবিনিময় সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

মৎস্য ঘেরের লবণাক্ত জমিতে সরিষার আবাদ করে সফল কৃষক হারুন গাজী

  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৫৫ বার পড়া হয়েছে

পাইকগাছা ( খুলনা )প্রতিনিধি::শীতের রিক্ততায় রং ও প্রাণের স্পন্দন নিয়ে এসেছে সরিষা ফুল। দিগন্ত বিস্তৃত হলুদ সরিষা ফুলে সেজে উঠেছে প্রকৃতি। চারিদিকে শুধু হলুদের সমারোহ আর মৌ মৌ গন্ধ। হলুদ প্রকৃতির এমন অপরুপ সৌন্দর্যের মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী কপোতাক্ষ নদের তীরে। এটি মূলত একটি মৎস্য লীজ ঘের, বছরের পর বছর ধরে এখানে মাছ চাষ করা হয়ে আসছে। বছরের প্রায় ৯ মাস লবণ পানিতে তলিয়ে থাকে চিংড়ী ঘেরটি। মাছ আহরণের পর ২ থেকে ৩ মাস পতিত পড়ে থাকে চিংড়ী ঘেরের জমি। এ বছর বদলে গিয়েছে এমন দৃশ্য। ৮০ বিঘা আয়তনের পুরো ঘের জুড়ে রয়েছে সরিষা আর সরিষা। পাইকগাছা উপজেলার মালথ গ্রামের মৃত শাহজদ্দীন গাজীর ছেলে কৃষক হারুন গাজী গদাইপুর ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদের তীরে হিতামপুর মৌজায় ৮০ বিঘা মৎস্য ঘেরের লবণাক্ত জমিতে বিনা চাষে বিনা-৯ জাতের সরিষার আবাদ করেছে। প্রথম বছরেই ভালো ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষক হারুন গাজী। বর্তমানে তার সমস্ত ক্ষেত হলুদ সরিষা ফুলে ভরে গেছে, কিছু কিছু গাছে ফলও ধরেছে। শীতের উষ্ণু হিম শীতল বাতাসে সরিষা ফুল দুলছে আর মৌমাছি গুন গুন করে গান করার মধ্য দিয়ে মধু আহরণ করছে এমন দৃশ্য মুগ্ধ করছে প্রকৃতি প্রেমী মানুষকে। অনেকেই পরিবার পরিজন, অনেকেই আবার প্রিয়জনকে নিয়ে যাচ্ছেন হলুদের সমারোহ দেখতে, সরিষা ক্ষেতে দাড়িয়ে ছবি তুলছেন, এসব ছবি পরবর্তীতে বিভিন্ন ছন্দ আর উপমা দিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। অনেকেই তৈরী করছেন রিল কিংবা টিকটক ভিডিও। এদিকে লবণাক্ত জমিতে সরিষার ভালো ফলন হওয়ায় শুধু কৃষক হারুন গাজীর সফলতা দেখছেন না কৃষি বিভাগ। কৃষক হারুনের এ সফলতাকে লবণ অধ্যুষিত উপক‚লীয় এ অঞ্চলে তেল জাতীয় ফসল উৎপাদনের অনেক সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ। কৃষক হারুনের এ সফলতা দেখে অনেক মৎস্য চাষীরা সরিষা আবাদে আগ্রহ প্রকাশ করছেন বলে কৃষক হারুন গাজী জানান। তিনি বলেন, আমি প্রায় ১০ বছর যাবৎ কপোতাক্ষ নদের তীরে হিতামপুর মৌজায় ৮০ বিঘা জমিতে মৎস্য লিজ ঘের করে আসছি। অক্টোবর নভেম্বরের দিকে মাছ আহরণের পর চিংড়ি ঘেরের জমি ২ থেকে ৩ মাস পতিত পড়ে থাকে। এ জন্য অনেকের পরামর্শ নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে বীজ সংগ্রহ করে ৭০ বিঘা জমিতে বিনা-৯ জাতের সরিষার আবাদ করেছি। এখানে আমার কোন চাষ করা লাগেনি। ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি। সম্পূর্ণ বিনা চাষে আবাদ করায় মাছ চাষের সাথে বাড়তি আয় হিসেবে অনেক লাভ হবে বলে ধারণা করছি। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন সহ কৃষি বিভাগ থেকে সরিষার মাঠটি পরিদর্শন করা হয়েছে উল্লেখ করে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অসীম কুমার দাশ বলেন, দেশের মোট চাহিদার ৯০ ভাগ তেল আমদানী করতে হয়। এতে বিপুল পরিমাণ টাকা আমদানী খাতে চলে যায়। আমদানী নির্ভরতা কমাতে বর্তমান সরকার এবং কৃষি বিভাগ তেল জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। এ লক্ষে কৃষি প্রনোদনা সহ কৃষককে বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগের এ কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অত্র উপজেলায় সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে লবণাক্ত জমিতে বিনা চাষের সরিষা আবাদ, তেল জাতীয় ফসল উৎপাদনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আশা করছি কৃষক হারুন গাজীকে অনুসরণ করে অন্যান্য মৎস্য চাষীরাও তাদের চিংড়ি ঘেরে বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষার আবাদ করতে এগিয়ে আসবে। বিনা চাষে সরিষা ফসল উৎপাদনের যে সম্ভবনা তৈরী হয়েছে এটি কাজে লাগাতে পারলে এলাকার কৃষকরা অনেক লাভবান হবে বলে কৃষি বিভাগের এ কর্মকর্তা জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
Theme Customized By BreakingNews