মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ২৭ জানুয়ারি শনিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী লিঙ্গুইন্টিক অলিম্পিয়াড আয়োজন করছে। এ আয়োজনের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে মাতৃভাষা চর্চা, প্রচার ও প্রসার ঘটানোই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট-এর মূল লক্ষ্য। সকাল ৯:৩০ ঘটিকায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান অতিথি ও খুলনা জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক-এর পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা মীর আলিফ রেজা, এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. মোঃ রজিকুল ইসলাম, বিভাগীয় প্রধান, বাংলা বিভাগ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক শেখ হারুনর রশিদ, আঞ্চলিক পরিচালক খুলনা, মাউশি; লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড-এর বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান; আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (আমাই)-এর পরিচালক (ভাষা, গবেষণা ও পরিকল্পনা) মো. আমিনুল ইসলাম। প্রধান অতিথি, আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দ জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড-এর শুভ উদ্বোধন করেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট এর পরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম। বিশেষজ্ঞগণ, বিশেষ অতিথি ও প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
এ অনুষ্ঠানে খুলনা অঞ্চলের ৬ষ্ঠ থেকে নবম ক্যাটাগরিতে ৪২০ জন এবং দশম থেকে দ্বাদশ ক্যাটাগরিতে ১৮০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। সকাল ১০.৩০ ঘটিকা থেকে ১২ ঘটিকা পর্যন্ত অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ব্যাপী লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড-এর নির্ধারিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড-এর মূল্যায়ন ও ফলাফল ঘোষনা পর্বে লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড-এর বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, প্রফেসর মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, উপপরিচালক, কলেজ-১ মাউশি; জনাব মোঃ আবদুল কাদের, উপপরিচালক, আমাই নিগার সুলতানা, উপপরিচালক, আমাই ফারহানা নাজ, জেলা শিক্ষা অফিসার, খুলনা মোঃ লুৎফর রহমান খান, সহকারী পরিচালক, আমাই শহিদুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত), সরকারি দৌলতপুর মুহসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খুলনা প্রমুখ প্রশ্নোত্তরপর্ব ও উন্মুক্ত আলোচনা পরিচালনা করেন। লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড-এর বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, এ আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুদ্ধ বাংলা ভাষা চর্চার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীবৃন্দ ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করে। বিশেষজ্ঞ অধ্যাপকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে ফলাফল ঘোষণা করেন এবং অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
Leave a Reply