নিজস্ব প্রতিবেদক::অমর একুশে বইমেলায় এলিট ফোর্স র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের লেখা সচেতনতামূলক দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
সমাজের জনসচেতনতামূলক বিষয় নিয়ে ‘মাদকের সাত সতেরো- বাংলাদেশের বাস্তবতা ও সমাধান সূত্র’ এবং ‘কিশোর গ্যাং-কীভাবে এলো, কীভাবে রুখবো’ শীর্ষক দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় শহিদ মিনারে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মতবিনিময় শেষে বই দুটির মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল মো. মাহাবুব আলম ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ। এছাড়াও ছিলেন র্যাবের পরিচালক ও অধিনায়ক ও অন্য কর্মকর্তারা।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেন, বর্তমান সময়ের আলোচিত সমস্যা হলো মাদক ও কিশোর গ্যাং। গ্যাং কালচারের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে কোমলমতি শিশু-কিশোররা গ্যাংয়ে জড়িত হয়ে পড়ছে। যা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া মাদক একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন তার কর্মজীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে ‘কিশোর গ্যাং- কীভাবে এলো, কীভাবে রুখবো’ এবং ‘মাদকের সাত সতেরো’ বাংলাদেশের বাস্তবতা ও সমাধানসূত্র বই দুটি লিখেছেন। আজকে যার মোড়ক উন্মোচন করা হলো।
র্যাবের মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘কিশোর গ্যাং- কীভাবে এলো, কীভাবে রুখবো’ বইটিতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপত্তি, কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার কারণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। সামাজিক অপরাধ হিসেবে কিশোর গ্যাংয়ের বাস্তব চিত্র বইটিতে কেস স্টাডির মাধ্যমে ওঠে এসেছে।
এছাড়াও কিশোর গ্যাংয়ে জড়িত শিশু-কিশোর ও ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে তাদের গ্যাং কালচারে জড়িত হওয়ার কারণ তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি কিশোর গ্যাং সম্পর্কে বিশিষ্টজন, জনপ্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্টদের মতামত পর্যালোচনা করে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়েছে।
অন্যদিকে ‘মাদকের সাত সতেরো’ বাংলাদেশের বাস্তবতা ও সমাধানসূত্র বইটিতে বাংলাদেশে মাদকের প্রভাব, মাদক সেবনকারী ও মাদক কারবারি সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানের প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে। বইটিতে মাদকের ভয়াবহ রূপ সম্পর্কে কেস স্টাডির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
এছাড়া বইটিতে শিশু-কিশোর ও তরুণদের মাঝে মাদকের বিস্তার, ধর্মীয় দৃষ্টিতে মাদকের কুফল এবং সর্বোপরি মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ ও সচেতনতা গড়ে তোলার প্রয়াস রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন বই দুটি পড়ে অভিভাবক ও পাঠক সমাজ উপকৃত হবেন।
মাদক ও কিশোর গ্যাং মুক্ত সমাজ গঠনের প্রত্যয়ে কর্মজীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে জনসচেতনতামূলক গুরুত্বপূর্ণ দুটি বই লিখে জনগণের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনকে ধন্যবাদ জানান র্যাব মহাপরিচালক।
Leave a Reply