1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:০২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
২৭ বছর পর দিল্লির মসনদে বসছে বিজেপি আটক সাবেক ডিআইজিসহ পুলিশের ৪ কর্মকর্তা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বড় ষড়যন্ত্র হচ্ছে, জড়িত ভারতের মিডিয়া-প্রেস সচিব বিশিষ্ট ২৬ নাগরিকের বিবৃতি ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারির ঘটনার দায় অন্তর্বর্তী সরকারের ওপরেই অনেকাংশে বর্তায় গাজীপুরসহ সারা দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু খুলনায় সাংবাদিক শেখ বেলাল উদ্দিনের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত টেকনাফে ১২ হাজার ইয়াবাসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন,ফের বাড়ছে ঢাকা-দিল্লি কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন চিটাগংকে কাঁদিয়ে আবারও বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন বরিশাল শেখ হাসিনা দিল্লি থেকে সন্ত্রাসীদের সক্রিয় করার চেষ্টা করছেন-প্রধান উপদেষ্টা

দুই চিকিৎসক গ্রেপ্তার, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ-সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু

  • প্রকাশিত: বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১১৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক::সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম আহনাফ তাহমিন আয়হাম (১০)। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা হাতিরঝিল থানায় মামলা করেছেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুই চিকিৎসক হলেন এস এম মুক্তাদির ও মাহবুব।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আওলাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে শিশু আয়হাম মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির বাবা। ডা. এস এম মুক্তাদিরসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫ জন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি।

ওসি বলেন, এ ঘটনায় জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর দুজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে এবার আইডিয়াল শিক্ষার্থীর মৃত্যু
সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে এবার আইডিয়াল শিক্ষার্থীর মৃত্যু
বিস্তারিত পড়ুন

স্বজনদের অভিযোগ, লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার কথা থাকলেও তারা ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়েছে। যে কারণে আহনাফের আর জ্ঞান ফেরেনি।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় আহনাফকে সুন্নতে খৎনা করাতে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। এর ঘণ্টাখানেক পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

জানা গেছে, মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন ডা. এস এম মুক্তাদিরের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার রাতে সন্তানকে সুন্নতে খৎনা করাতে আসেন শিশু আয়হামের বাবা ফখরুল আলম ও মা খায়কুন নাহার চুমকি। রাত আটটার দিকে খৎনা করানোর জন্য অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পর আর ঘুম ভাঙেনি আহনাফের। এর ঘণ্টাখানেক পর হাসপাতালটির পক্ষ থেকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এ বিষয়ে আহনাফের বাবা ফখরুল আলম বলেন, আমরা চিকিৎসককে বলেছিলাম যেন ফুল অ্যানেস্থেসিয়া না দেওয়া হয়। তারপরও আমার ছেলের শরীরে সেটি পুশ করেন ডা. মুক্তাদির। আমি বারবার তাদের পায়ে ধরেছি। আমার ছেলেকে যেন ফুল অ্যানেস্থেসিয়া না দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, আমার সন্তানকে অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই মৃত্যুর দায় মুক্তাদিরসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবারই। আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই।

অভিযুক্ত চিকিৎসক মুক্তাদির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অর্থোপেডিক বিভাগের জয়েন্ট ব্যথা, বাত ব্যথা, প্যারালাইসিস বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা দিতেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর বাড্ডা সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশু আয়ান মারা যায়। টানা সাত দিন লাইফ সাপোর্টে ছিল আয়ান। এর রেশ কাটতে না কাটতেই একই ঘটনায় মৃত্যু হলো আইডিয়াল শিক্ষার্থী শিশু আহনাফ তাহমিন আয়হামের।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
Theme Customized By BreakingNews