বাগেরহাট প্রতিনিধি ::বাগেরহাটের কচুয়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে বাসুদেব ওরফে বাপ্পী কর্মকার নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার বিকেলে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক এস এম সাইফুল ইসলাম আসমির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।
একইসঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এই মামলার অন্য তিন আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বাসুদেব ওরফে বাপ্পী কর্মকার কচুয়া উপজেলার গজালিয়া গ্রামের বাবুল কর্মকারের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পিরোজপুর উপজেলার মঠবাড়িয়া থানার চরকাছারিয়ার সুবোধ কুমারের মেয়ে সেতু রানিকে আসামি বাসুদেব শাহসহ কয়েকজন অপহরণ করে বিবাহ করেন। পরবর্তীতে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে তারা।
পরে এলাকায় এসে বসবাস করতে থাকে এবং স্বণের্র ব্যাবসা শুরু করে। তার স্ত্রীকে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে এবং বাবার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা গ্রহণ করে। গত ৬ আগস্ট ২০১৯ সালে ৮ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করে। অসুস্থ হয়ে পড়লে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মরদেহ সৎকারের পর ৮ আগস্ট কচুয়া থানায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলা করতে গেলে দীর্ঘদিন ঘুরিয়ে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে একই বছর ২ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা সুবোধ কুমার আদালতে ৬ জনকে আসামি করে মামলা।
মামলাটি পিবিআই তদন্ত শেষে ৪ এপ্রিল ২০২০ সালে ৪ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে। আদালত ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি বাসুদেব ওরফে বাপ্পী কর্মকারকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। অন্য আসামিদের অব্যাহতি দেন।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহী আলম বাচ্চু এবং বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সরকারি কৌশলী সিদ্দিকুর রহমান।
Leave a Reply