নিজস্ব প্রতিনিধি::”কর্তব্যের তরে, করে গেল যাঁরা, আত্মবলিদান-প্রতিক্ষণে স্মরি, রাখিব ধরি, তোমাদের সম্মান।” এই স্লোগানকে ধারণ করে (৯ মার্চ) ২০২৪ শনিবার খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও খুলনা রেঞ্জ পুলিশের যৌথ উদ্যোগে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ পালিত হয়েছে।
এ লক্ষে সকাল সাড়ে ৯ টায় ঘটিকায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং খুলনা রেঞ্জ পুলিশের যৌথ উদ্যোগে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে নগরীর বয়রা বাজার মোড় হতে এক বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেএমপি’র বয়রাস্থ পুলিশ লাইন্স মনুমেন্টে এসে শেষ হয়। অতঃপর র্যালি শেষে পুলিশ লাইন্সে স্থাপিত মনুমেন্টে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে মনুমেন্ট প্রাঙ্গণে কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মত্যাগকারী পুলিশ সদস্যদের জন্য দোয়া করে মোনাজাত করা হয় এবং ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
তৎপরে কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা মহোদয়ের সভাপতিত্বে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে ২০২৪ এর আলোচনা সভা শুরু হয়। কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মত্যাগকারী খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ১৩ জন এবং খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ২৩ জন সহ সর্বমোট ৩৬ জন পুলিশ সদস্য পরিবারেকে সম্মাননা স্মারক, সনদপত্র ও উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
বক্তব্যে বলেন, “আমরা এমন এক মাসের কথা বলছি যে মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং এই স্বাধীনতার ঘোষণার পরেই বাংলাদেশ পুলিশ উজ্জীবিত হয়ে পাকিন্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন এবং অকাতরে জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন। আমি এই মহুর্তে সেই সকল আত্মত্যাগকারী মহান বীরদের বিজয়গাঁথা শ্রদ্ধাভরে স্মারণ করছি। বাংলাদেশ পুলিশ জাতির প্রয়োজনে সর্বদা আত্মোৎসর্গ করে হলেও জনগণের স্বার্থে এবং জনগণের পক্ষেই কাজ করে যান। সেই ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কালীন শুধুমাত্র রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সেই নয় বাংলাদেশের বিভিন্ন পুলিশ লাইন্সের থানায় মহান যুদ্ধের জন্য যারা উদ্বুদ্ধ হয়েছিল তাদেরকে বাংলাদেশ পুলিশ অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করেছেন। এই উন্নয়নের যে গতিধারা তা অব্যহত রেখে জাতির পিতার সেই সোনার বাংলা আমরা গড়তে চাই এই আশাবাদ ব্যক্ত করে এবং বিভিন্ন সময় যে সকল পুলিশ সদস্য দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে জীবন উৎসর্গ করেছে তাঁদেরকে প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জানিয়ে বক্তব্য শেষ করছি।”
উক্ত পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’র র্যালী, পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, মোনাজাত, সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র প্রদানে ৩য় এপিবিএন, খুলনার কমান্ডিং অফিসার মো: মাসুদ করিম; আরআরএফ, খুলনার অতিরিক্ত ডিআইজি (কমান্ড্যান্ট) জ নওরোজ হাসান তাদুকদার; খুলনা রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ফিন্যান্স) মোঃ নিজামুল হক মোল্যা; অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) জয়দেব চৌধুরী, বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) মোছাঃ তাসলিমা খাতুন; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন; পুলিশ সুপার, নৌ পুলিশ, খুলনা অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মোহাম্মদ শরিফুল রহমান;খুলনা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, পিপিএম (বার); ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, পিপিএম; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মনিরা সুলতানা; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (আরসিডি) শাহরিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজী; খুলনা রেলওয়ে পুলিশ সুপার মোঃ রবিউল হাসান; ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৬, খুলনার পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার; ট্যুরিস্ট পুলিশ, খুলনার পুলিশ সুপার মো: আসাদুজ্জামান; খুলনা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ আলমগীর কবির; খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধ সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার মাহবুবার রহমান; খুলনা মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম, খুলনার সভাপতি ডাঃ এ.কে.এম কামরুল ইসলাম এবং খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস.এম নজরুল ইসলাম-সহ খুলনাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মত্যাগকারী পুলিশ পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply