নিজস্ব প্রতিনিধি::গত ১৬ মার্চ ২০২৪ তারিখ রাত্র সাড়ে ৯ টায় কেএমপি’র সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই (নিঃ) মোঃ সোহেল রানা, সঙ্গীয় ফোর্স কনস্টেবল/৬২৮৫ তৌহিদুজ্জামান ও কনস্টেবল/৪৫৭৭ তৌফিক এলাহী সহ রাত্রিকালীন মোবাইল-২ ডিউটি করাকালীন জনৈক আনফালের ফোন কলে জাতীয় জরুরী সেবা-৯৯৯ এর মাধ্যমে জানতে পারেন যে, সোনাডাঙ্গা থানাধীন সঙ্গীতা সিনেমা হলের সামনে ১ (এক) টি শিশু এলোমেলোভাবে ঘোরাফেরা করছে। তিনি দ্রুত উক্ত স্থানে উপস্থিত হয়ে শিশুটিকে হেফাজতে গ্রহণ করে নাম ও ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে ভিকটিম তার নাম মোঃ সাদিক (৭), পিতা-চঞ্চল, সাং-নওয়াপাড়া, থানা-অভয়নগর, জেলা-যশোর বলে প্রকাশ করে। কিন্তু অভিভাবকের কোন মোবাইল নাম্বার বলতে পারে না। অত:পর এসআই (নিঃ) মোঃ সোহেল রানা ঘটনাস্থলের আশপাশে এলাকায় খোঁজ-খবর নিয়ে শিশুটির কোন অভিভাবক খুঁজে না পেয়ে থানায় হাজির হয়ে অফিসার ইনচার্জ কে অবগত করেন। পরবর্তীতে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই (নিঃ) মোঃ সোহেল রানা, নারী কং/৪৬৪৭ শামীমা সুলতানা সহ ভিকটিম কে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, কেএমপি, খুলনায় হস্তান্তর করেন। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের ডিউটি অফিসার এসআই (নিঃ) মোসাঃ ফাতেমা খাতুন অভয়নগর থানা, যশোর যোগাযোগ করে উক্ত থানার ডিউটি অফিসারকে ভিকটিমের ছবি সহ তথ্যাদি প্রেরণ করেন। অভয়নগর থানার মোবাইল ডিউটি ইনচার্জ খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারেন যে, ভিকটিমের বাবা ইউনিলিভার কোম্পানী, খুলনায় চাকরি করেন। তিনি ভিকটিমের বাবার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে প্রদান করেন। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের ডিউটি অফিসার এসআই (নিঃ) মোসাঃ ফাতেমা খাতুন ভিকটিমের বাবার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান যে, মোঃ সাদিক (০৭), পিতা-খন্দকার খায়রুজ্জামান (চঞ্চল), সাং-বাসা নং-২৮/১, হাজী মহসিন রোড বাইলেন-১, থানা-খুলনা সদর, জেলা-খুলনা তার সন্তান। ভিকটিমের বাবাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে আসতে বলেন। তিনি ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে আসলে ভিকটিমের মা ও বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করতঃ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহপূর্বক এসআই (নিঃ) মোসাঃ ফাতেমা খাতুন ও নারী কং/৬৬৩৪ রুপালী খাতুন এর উপস্থিতিতে জিডি মূলে অদ্য ১৭ মার্চ ২০২৪ তারিখ ১৫:৩০ ঘটিকায় ভিকটিম কে তার বাবার জিম্মায় সুস্থ্যভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply