গাজী তরিকুল ইসলাম, বটিয়াঘাটা থেকে: বটিয়াঘাটা উপজেলার চক্রাখালী মোড়, সাচিবুনিয়া মোড়, জিরোপয়েন্ট, পুটিমারী, তেতুঁলতলা, খারাবাদ বাইনতলা, কড়িয়া বাজার, বিরাট হাইস্কুলের মোড়, বিরাট খেয়াঘাট, বিরাট বাজার, হালিয়া বাজার, বরনপাড়া খেয়াঘাট, বারআড়িয়া বাজার, সুরখালী বাজার, গাওঘরা বাজার, আমতলা মোড়, সুখদাড়া বাজার, ডেউতলা মোড়, কাতিয়ানাংলা বাজার, টেংড়ামারী মোড়, বয়ারভাঙ্গা মোড়, পশ্চিম বয়ারভাঙ্গা মোড়, মাইলমারা বাজার, পার-বটিয়াঘাটা মোড়, কাছাড়িবাড়ী তিন রাস্তার মোড়, হোগলবুনিয়া, হাটবাটি ওভার ব্রিজ, বাদামতলা বাজার, মঠফুলতলা খেয়াঘাট, হাসপাতাল মোড়, সদর ইজিবাইক স্ট্যান্ড, বটিয়াঘাটা বাজার মোড় সহ বিভিন্ন চায়ের দোকানে চলে অনলাইন ক্যাসিনো নামের জুয়ায় খেলা। উপজেলার জুয়াড়িরা অনলাইনে যেমন ওয়ান এক্সবেট, মেল বেট, নাইন উইকেট, লুডু নামে অনলাইন জুয়ায় সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট ও আসক্ত হচ্ছে। ওই সকল এলাকার প্রতিটি বাজার, ক্যারাম বোর্ডের দোকান, চায়ের দোকান, বিভিন্ন পরিত্যক্ত জায়গায় আড্ডার আড়ালে চলে অনলাইন ক্যাসিনো নামের জুয়া। এমনকি বাড়িতে শুয়ে বসে চলছে ক্যাসিনো জুয়ার আসর। অনেকে জুয়ার টাকা জোগাড় করতে চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে। বাড়ছে পারিবারিক কলহসহ নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, সদর ইউনিয়নের এক ব্যবসায়ী বলেন, আমি নিজে কৌতুহলবশতঃ একটি অ্যাপস নামিয়েছি। এলাকার এক এজেন্টের মাধ্যমে ডিপোজিট করি ৫০০ টাকা। চোখের পলকে মনে হলো ফুডুৎ করে বাতাসে টাকাটা নিয়ে চলে গেল। তবে আমি মনে করি এভাবে যদি চলতে থাকে এলাকার যুবসমাজ নিঃস্ব হয়ে যাবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক জুয়াড়ি জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাস্টার এজেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে অনেকে। তারা বিভিন্ন সময় ছদ্ম নাম ব্যবহার করে জুয়াড়িদের সাথে যোগাযোগ করে থাকে। তারা বিভিন্ন বাহারি রঙ্গের মটরসাইকেল যোগে জুয়ার এজেন্ট হিসাবে কাজ করে চলেছে। এছাড়া প্রতিটি এলাকায় দু’একজন করে মাস্টার এজেন্টের দায়িত্ব পালন করছে বলেও জানা যায়। আর তাদের এক একজন এজেন্টের জুয়াড়ি সদস্য সংখ্যা রয়েছে প্রায় দেড় থেকে ২শত জনেরও বেশী। এছাড়া একজন জুয়াড়ি যদি হেরে যায় তাহলে ওই টাকার ৪০% কমিশন পায় এজেন্টরা। এই ভাবে এজেন্টরা লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জুয়াড়িদের কাছ থেকে। উপজেলার একজন হাইস্কুলের শিক্ষক এই জুয়ায় নিঃশ্ব হয়ে চাকুরী ছেড়ে স্ব-পরিবারে ভারতে পলায়ন করেছে। এইভাবে চলতে থাকলে এলাকার যুবসমাজ এক সময় ধ্বংশ হয়ে যাবে। সদর বাজারের মোড়ে বিভিন্ন চায়ের দোকানে খেয়ে না খেয়ে সারাদিন বসে তারা অনলাইনে ওয়ান এক্সবেট, মেল বেট, নাইন উইকেট, লুডু মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জুয়া খেলে চলেছে। স্থানীয়রা জানায়, পুলিশের অভিযান চলমান থাকলেও বন্ধ হচ্ছে না জুয়া খেলা। গত কয়েকদিন আগে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ডিবি পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ৭/৮জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। এ ব্যপারে থানার অফিসার ইনচার্জ রিপন কুমার সরকার এ প্রতিবেদককে জানান, অনলাইন জুয়া বন্ধ করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তথ্য পেলেই জুয়ার আড্ডায় পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।
Leave a Reply