1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
বাগেরহাট ফিল্ম সোসাইটির বনি সভাপতি ও রোমেল সম্পাদক নির্বাচিত দাকোপে বিএনপির উদ্যোগে মতবিনিময় সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গজারিয়ায় সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে বিদেশি অস্ত্র তাজা গোলা জব্দ মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হত্যা মামলার আসামী স্ত্রী, বিচারের দাবিতে মায়ের আকুতি ভারত থেকে অবৈধ পণ্য আনার সময় তিন অনুপ্রবেশকারী আটক খুলনায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন মহেশখালীতে কোস্টগার্ডের অভিযানে দেশীয় অস্ত্র তাজা গোলা জব্দ ঢাকায় বৈঠক শেষে কক্সবাজার গেলেন ড. ইউনূস ও গুতেরেস আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে-প্রধান উপদেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ-আন্তোনিও গুতেরেস

বেশি লাভের আশা নিয়ে সুন্দরবনে ছুটছেন মৌয়ালরা

  • প্রকাশিত: রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

মনির হোসেন, মোংলা::সুন্দরবনে শুরু হয়েছে মধু আহরণের মৌসুম। জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজনে মৌয়ালরাও ছুটছেন বনের দিকে।

১ এপ্রিল সোমবার থেকে বনবিভাগের পাস-পারমিট (অনুমতিপত্র) নিয়ে মধু সংগ্রহে নেমে পড়বেন তারা। নৌকা মেরামত শেষে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে মৌসুমের শুরু থেকেই বনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে মৌয়ালরা শুরু করবেন মধু আহরণের কর্মযজ্ঞ।

এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০২২ সাল থেকে এপ্রিল ও মে মাসে মধু সংগ্রহের জন্য মৌয়ালদের পাস-পারমিট দিয়ে আসছে বন বিভাগ। এবারের মৌসুমে ১ হাজার ৫০০ কুইন্টাল মধু এবং ৪৫০ কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গত বছর ৩৬৫টি পাস নিয়ে ২ হাজার ৪৫০ জন মৌয়াল ১ হাজার ২২৫ কুইন্টাল মধু এবং ৩৬৭ দশমিক ৫ কুইন্টাল মোম আহরণ করেছিলেন, যা থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয় ২৭ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা।

কয়েকজন মৌয়ালি জানান, মৌসুমের শুরুতে খলিশা ফুলে মধু আসে। এরপর আসে গরাণ ফুলের। শেষে আসে কেওড়া ও ছইলা ফুলের মধু। এই তিন প্রজাতির মধুর মধ্যে সবচেয়ে দামি হচ্ছে খলিশার মধু। এ বছর এই অঞ্চলে সে রকম বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টি না হওয়ায় ফুল শুকিয়ে ঝরে যায়, তাই মধু জমে কম। মৌয়ালদের অভিযোগ, আগে বন বিভাগ তিন মাস (এপ্রিল, মে ও জুন) মধু আহরণের অনুমতি দিত। কিন্তু গত দুই বছর শুধু এপ্রিল ও মে মাসে মধু আহরণ করতে দিচ্ছে। এ ছাড়া সুন্দরবনের প্রায় অর্ধেক এলাকায় মধু আহরণের অনুমতি দেয় না বন বিভাগ। এ কারণে আগের চেয়ে মধু আহরণের পরিমাণ বেশ কমে গেছে বলে জানান তারা। মৌয়ালরা আরো জানান, গত বছর তাঁদের দলের প্রত্যেক সদস্য দুই মণ করে মধু পেয়েছিলেন। পাস সংগ্রহ, সরকারি রাজস্ব এবং খাওয়া খরচ মিলিয়ে মৌসুমে তাদের একেকজনের খরচ হয় ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা।

আর দুই মণ মধু বিক্রি করে একেকজন পেয়েছিলেন ৬০ হাজার টাকা। এ বছরও আশানুরূপ মধু পাবেন বলে মনে করছেন তারা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
Theme Customized By BreakingNews