মনির হোসেন, মোংলা::সুন্দরবনে দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা ২৭টি বাহিনীর ২৮৪ জন জলদস্যুকে র্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব)- ৮ এর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়েছে।
৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মোংলা বন্দরের পিকনিক কর্ণারে র্যাবের পক্ষ থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা জলদস্যুদের হাতে নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ,সেমাই, চিনি, সয়াবিন তেল ইত্যাদি।
ঈদ উপহার বিতরণকালে র্যাব- ৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল কাজী যুবায়ের আলম শোভন এবং সিনিয়র এএসপি মোহাম্মদ ফয়জুল ইসলামসহ এ বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব-৮ সুত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষনা করেন। সুন্দরবনে এখন বইছে শান্তির সু-বাতাস। অপহরণ হত্যা এখন তিরোহিত। জেলেদের কষ্টার্জিত ভাগও কাউকে দিতে হচ্ছেনা। মাওয়ালী, বাওয়ালী, বনজীবী, বণ্যপ্রাণী এখন সবাই নিরাপদ। নির্ভয়ে নির্ভিঘ্নে আসছে দর্শনার্থী পর্যবেক্ষক ও জাহাজ বণিকেরা। এভাবেই সরকারের দূর্দশিতায় সুন্দরবন কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক গতিশীলতায় ব্যাপক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা, পৃষ্ঠপোষকতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে এবং র্যাবের সংক্রিয় অংশগ্রহণে সুন্দরবন আজ দস্যুমুক্ত।
র্যাব আরো জানায়, বর্তমানে আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুরা পুণর্বাসিত হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে আত্মসমর্পনকারী সকল জলদস্যু ও বনদস্যুদের বিরুদ্ধে রুজুকৃত চাঞ্চল্যকর ও গুরুতর অপরাধ হত্যা ও ধর্ষণ মামলা ব্যতিত অন্যান্য সকল সাধারণ মামলা সহানুভূতি সহকারে বিবেচনার বিষয়টি চলমান রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২৮৪ জলদস্যুর মাঝে ৮৬ জনকে বসতবাড়ি, ৭৬ জনকে মুদি দোকান, ১০৫ জনকে গরু এবং ১৬ জনকে নৌকা প্রদান করা হয়েছে।
Leave a Reply