দাকোপ প্রতিনিধি:: প্রবল জোয়ারের তোড়ে মুহুর্তের মধ্যে খুলনার দাকোপের পানখালী ইউনিয়নের খোনা গ্রামে পাউবোর ৫০মিটার বেড়িবাঁধ ঢাকী নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় ৩টি গ্রামের ২ শতাধিক পরিবার সম্পূর্ণ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। তরিয়ে গেছে হাজারো বিঘা রোপা আমনের ক্ষেত। ভেসে গেছে দেড় শতাধিক পুকুরের সাদা মাছ। একই স্থানের বাঁধ বার বার নদী ভাঙ্গনের কারণে অনেক পরিবার সর্ব শান্ত হয়ে এলাকা ছেড়েছেন। দ্রুত বিকল্প যুগোপযোগী টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবী জানিয়েছে।
সরজমিনে ঘুরে ও স্থানীয় একাধিক এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে গেছে, (৬ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকী নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে উপজেলায় পাউবো’র ৩১নং পোল্ডারের খোনা গ্রামে ৫০ মিটার বাঁধ মুহুর্তের মধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় উপজেলা সদর পানখালী ইউনিয়নের ৮নং ও ৯নং ওয়ার্ডের খোনা, বারুইখালী ও পশ্চিম খোনা গ্রামের ২শতাধিক পরিবার সম্পূর্ণ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এলাকায় কৃষকের প্রায় হাজারো বিঘারও বেশি রোপা আমনের ক্ষেত সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। এছাড়া গ্রামের দেড় শতাধিক পুকুরের সাদা মাছ ভেসে গেছে। একের পর এক ঢাকী নদীর অব্যহত ভাঙ্গনের শিকারে গত ১০ বছরে প্রায় ২০০টি পরিবার তাদের শতশত বিঘা আমন ফসলী জমি,বসত-ঘরবাড়ি, স্থাপনা,সহায় সম্বল হারিয়ে তারা জীবন জীবিকার সন্ধানে চলে গেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। উপজেলার ৩১নং পোল্ডারের বিভিন্ন স্থানের বেড়িবাঁধ আজ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন আগে খোনা গ্রামের নদী ভাঙ্গন কবলিত এ স্থানে ফাঁটল দেখা দিলে তখন পাউবো’র কর্তৃপক্ষকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হলেও তারা এ স্থানে কার্যত পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আজ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
পানখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সাব্বির আহম্মেদ জানান,ঢাকী নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে শুক্রবার দুপুরে খোনা গ্রামের মোল্যা বাড়ির সামনে পাউবোর প্রায় ৫০ মিটার বাঁধ সম্পূর্ণ ঢাকী নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাটায় পানি নেমে গেলে বাঁধটি আটকানোর জন্য সংশ্লিষ্ট পাউবো’র নেতৃত্বাধীন শ্রমিক ও স্থানীয়রা বাঁধটি আটকানোর প্রস্তত রয়েছেন।
পাউবো’র উপ-বিভাগী প্রকৌশলী সুজয় কর্মকার বলেন, জোয়ারের সময় স্থানীয় নদ-নদীর মতই ঢাকী নদীর পানি সাভাবিক অপেক্ষা ৩ থেকে ৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খোনা গ্রামে পাউবোর বেঁড়িবাঁধের ৫০ মিটার বাঁধ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এই মুহুর্তে নদী গর্ভে বিলীন হওয়া ভেঙ্গে বাঁধটি আটকানোর জন্য পাউবো’র উদ্যোগে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভাটায় পানি নেমে গেলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রমিক কাজ করে জোয়ার আসার আগেই বাঁধটি আটকানো সম্ভব হবে।