দাকোপ প্রতিনিধি:: ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় ৪ হাজার ৪ শত ২১ পরিবারের মাঝে চেকের মাধ্যমে অর্থ সহায়তা ও দেড় বান ঢেউ টিন সহায়তা প্রদান করেছেন খুলনার দাকোপ উপজেলা প্রশাসন।
সরজমিনে ঘুরে ও উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানাযায়, গত ২৭ মে বাংলাদেশের উপকূলীয় অন্যান্য স্থানের মত খুলনার উপকূলীয় দাকোপ উপজেলায় আঘাত হানে প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় রিমাল। ঘূণিঝড় রিমালের আঘাতে এ উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের চালনা পৌরসভাসহ ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অসহায় দিন মজুরের সাড়ে ৬ হাজারের বেশী কাঁচা পাঁকা ঘর বাড়ি সম্পূর্ণ ভাবে বিধ্বস্ত হয়। ঘূর্ণি ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়া এ সকলা ঘর বাড়ির অসহায় পরিবার গুলো তখন সর্ব শান্ত হয়ে পড়েন। অনেকে আবার ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে পলিথিন টাঙ্গিয়ে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে মানববেতর ভাবে জীবন যাপন করছিলেন। তখন উপজেলা প্রশাসন এ সকল পরিবার গুলোকে আর্থিক সহায়তা ও ঘর নির্মাণের সহায়তা প্রদানের লক্ষে মাঠ পর্যায়ে কয়েকটি কমিটির মাধ্যমে জরিপ করেন। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিবার গুলির অনুকুলে আর্থিক সহায়তা ও ঘর নির্মাণের মালামাল চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে তথ্যদি প্রেরণ করেন। তার অংশ হিসেবে ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এ উপকূলীয় দাকোপ উপজেলার ৪ হাজার ৪ শত ২১ পরিবারের মাঝে সরকারি সহায়তা হিসেবে প্রত্যেক পরিবারকে দেড় বান ঢেউটিন এবং চেকের মাধ্যমে ৭ হাজার ৫শত টাকা প্রদান করেছেন। (আজ ২৩ ডিসেম্বর) সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে চালনা পৌরসভায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শত ২৫ পরিবারের মাঝে এ সকল সহায়তা প্রদান করে প্রাথমিক ভাবে সহায়তার উদ্বোধন করা হয়েছে। দাকোপে অবস্থানরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার লেফটেনেন্ট মোঃ রুবাইদুল ইসলাম রুবি তিনি ঘুর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে এ সহায়তা দিয়ে কাজের উদ্বোধন করেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ আব্দুল কাদের বলেন আজ প্রাথমিক পর্যায়ে চালনা পৌরসভায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে সরকারি এ সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পর্যায় ক্রমে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে এ সহায়তা প্রদান করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার সুরাইয়া সিদ্দিকা,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার শেখ আব্দুল কাদের প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসমত হোসেন বলেন,ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা প্রদানের জন্য মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের নেতৃত্বে পৃথক পৃথক কমিটির মাধ্যমে চালনা পৌরসভাসহ ৯টি ইউনিয়নে জরিপ করা হয়ে ছিলো। তারই অংশ হিসেবে সরকারি সহায়তা হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর মাঝে টিন ও চেকের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।