অরুণ দেবনাথ, ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি :: সতীনের ছেলেরা বাড়ি থেকে ঘাড় ধরে বের করে দিয়েছে। ২২দিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে দুবেলা দুমুঠো খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। আমাকে দেখার মতো দুনিয়ায় আর কেউ নেই, আমি একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই চাই। কান্না জড়িত কন্ঠে কথাগুলো বলেন ডুমুরিয়া উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের অসহায় ৮৫ বছরের বিধবা বৃদ্ধা আমেনা বেগম। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই উপজেলার মাগুরখালী ইউনিয়নের শেখেরট্যাক গ্রামের জনৈক মাহাতাব হালদারের আশ্রয়ে লালন পালন করে পালিত মেয়ে হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দেশ স্বাধীনের পূর্বে আমাকে বিয়ে দেন উপজেলার সাহস ইউনিয়নের কালিকাপুর এলাকার খোরশেদ শেখের সাথে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, বিবাহিত জীবনে কোন সস্তানের মা না হওয়ায় স্বামী আবার দ্বিতীয় বিয়ে করেন। গেল ২২ বছর পূর্বে স্বামী মারা যাবার পর সতীনের ছেলেরা বিভিন্ন সময়ে সংসার থেকে বেরিয়ে যাবার হুমকি ও নির্যাতন করে আসছে। গত ৩ মাস সতীনের ছেলেরা ঘাড় ধরে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। খেয়ে না খেয়ে বিভিন্ন স্থানে থেকে সর্বশেষ বেশ কয়েকদিন ধরে উপজেলার বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের পাশে একটি আলগা ঘরে আশ্রয় নিয়েছি। ওখানে বসে পথচারীদের কাছে হাত পেতে যা ভিক্ষে পাই তা দিয়েই দিনাতিপাত করছি। তার এ দুঃখের কথা শুনে বাজারে ফল ব্যবসায়ী শহিদুলের স্ত্রী প্রতিনিয়ত বাড়ি থেকে রান্না করে খেতে দেয়। তবে এ তীব্র শীতে দারুন কষ্টে রাত যাপন করতে হচ্ছে তার। তিনি আরো জানান, বাকি জীবনটা একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই নিয়ে বাঁচতে চাই এবং স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তির ন্যায্য অধিকার আদায়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ এমনটি উল্লেখ করেছেন তিনি।