1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
‘ছাত্রলীগ ব্যর্থ হলে পুলিশ আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে’ দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাগেরহাটে সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা নয়াবাটী হাজী শরিয়ত উল্লাহ বিদ্যাপীঠে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা মোড়েলগন্ঞ্জে গ্রাম আদালত বিষয়ক কমিউনিটি মত বিনিময় সভা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বৈঠক বাগেরহাটে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষক বলার প্রতিবাদে ছাত্র সমাজের বিক্ষোভ ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ্ব ১৪ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উপলক্ষ্যে প্রেসকনফারেন্স মোংলায় কোস্টগার্ডের অভিযানে আ.লীগ যুবলীগের তিন নেতাকর্মী আটক বিশ্ব সরকার সম্মেলনে অংশ নিতে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের আয়োজনে সভা

  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ২৯২ বার পড়া হয়েছে

মোঃ জাহিদুল ইসলাম :: আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ খুলনা বিভাগের উদ্যোগে “সিভিল সার্ভিসে সংস্কারঃ প্রেক্ষিত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ” শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সিভিল সার্ভিস সংস্কারের মাধ্যমে বৈষম্য দূর করণের মাধ্যমে কার্যকর জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়। আয়োজন কমিটির আহবায়ক ডাঃ আসাদুল্লাহ গালিবের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক ড. মুহম্মদ মফিজুর রহমান ।

পরিষদের অন্তর্ভুক্ত ২৫ টি ক্যাডারের খুলনা বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সিভিল প্রশাসনের সকল স্তরে অনিয়ম, কোটাবৈষম্য, অসমতা দূর করে একটি গতিশীল জনপ্রশাসন ব্যবস্থা গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করতে দৃঢ়তা প্রকাশ করেন এ পরিষদ ভুক্ত ২৫ টি ক্যাডারের সদস্যরা। কোটা বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারকে বিদায় করে গঠিত হয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাই ২৫ ক্যাডার বর্তমান সরকারের অনুভূতিকে ধারণ করে সকল ধরনের কোটা বিলোপের মাধ্যমে মেধাভিত্তিক জনপ্রশাসন গড়তে বদ্ধ পরিকর।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিরাজমান প্রশাসনিক অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ২৫টি ক্যাডারের অধিকাংশ শীর্ষ পদে সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রদায়ন নেই। দক্ষ, পেশাদার ও গতিশীল সিভিল সার্ভিস ব্যবস্থা গড়ে তুলতে যথাযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রণে অফিস বন্টন করতে আহ্বান করেন তারা।
পাশাপাশি কার্যকর জনসেবা নিশ্চিত করতে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ হতে কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবি করা হয়েছে অর্থাৎ প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে স্ব-স্ব ক্যাডারের অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের পদায়ন করতে হবে। সকল সেক্টরে একটি ক্যাডারের নিয়ন্ত্রণ থাকায় সার্ভিসে পেশাদারিত্ব মারাত্বকভাবে ব্যহত হচ্ছে এবং সৃষ্ট আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, অব্যবস্থাপনা এবং স্বেচ্ছাচারিতার ফলে সেক্টরগুলো কাঙ্ক্ষিত জনসেবা নিশ্চিত করতে পারছে না বলে উল্লেখ করা হয় এ সভায়। বৈষম্যহীন জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে কোটামুক্ত মেধাভিত্তিক উপসচিব পুল অত্যন্ত জরুরি বলে জোর দাবি করেন বক্তারা। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের বিধি থাকলেও যা প্রশাসন ক্যাডার ধীরে ধীরে অনিয়মের মাধ্যমে নিজেদের জন্য কোটাভূক্ত করেছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। তাছাড়া “কোটা” জুলাই বিপ্লবের সাথে সাংঘর্ষিক বলেও উল্লেখ করা হয়।
সকল ক্যাডারের পদোন্নতি একটি ক্যাডারের দয়ার ওপর নির্ভরশীল বলে একটি ক্যাডারের পদ না থাকলেও পদোন্নতি হয়, আর অন্যদের পদ শূণ্য রেখেও পদোন্নতি দেয়া হয়না বলে উল্লেখ করেন পরিষদের সমন্বয়ক ড. মুহম্মদ মফিজুর রহমান। তিনি বলেন এ ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। যার যার পদোন্নতি সেই ক্যাডারের অফিস দিবে, অন্যথায় ২৬টি ক্যাডারের পদোন্নতিই তৃতীয় কোন অফিস (যেমন পিএসসি) দিতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সকল ক্যাডারের পদ সোপান সমান করে, ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতির দাবি করেন তিনি। এছাড়াও মতবিনিময় সভায় বক্তারা নিম্নবর্ণিত সুপারিশ তুলে ধরা হয় রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে যেন কোন গোষ্ঠী কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য পরিষদের সকল সদস্য সতর্ক থাকতে হবে। কিছু গোষ্ঠী পরিষদের সদস্যদের উসকে দিয়ে স্বার্থসিদ্ধি করতে চেষ্টা করছে, এ বিষয়ে সহনশীল থেকে এবং কোন ধরনের প্ররোচনায় না গিয়ে ধৈর্য্যের সাথে মোকাবিলা করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে এবং সেমিনার / মতবিনিময় সভার মাধ্যমে জনবান্ধন সিভিল সার্ভিস গঠনের অন্তরায় নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা বৃদ্ধি করতে পরিষদের সদস্যদের পরামর্শ দেওয়া হয়, তবে কাউকে আঘাত বা হেয় করে কোন মন্তব্য না করতে অনুরোধ করা হয়। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে ক্যাডার বহির্ভুতকরণের চিন্তা হতে বিরত থাকতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনকে আহ্বান করা হয়। নতুন ইস্যু সৃষ্টি করে সবার দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে নেয়া যাবেনা বলে উল্লেখ করা হয় সভায়। রাষ্ট্রের দায়িত্বভার হাতে থাকায় সেটির অপব্যবহার করে সামান্য অপরাধে ঢালাওভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপদেষ্টা মহোদয়দের সাথে দেখা করলে তাঁরা কিছুই জানেন না বলায় বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন বক্তারা। তাহলে কী সরকারের মধ্যে ছোট্ট আরেকটি সরকার বিদ্যমান! উপদেষ্টাদের অনুরোধে এই মুহুর্তে কোন ধরনের কর্মসূচী না দিতে পরামর্শ দেন পরিষদকে, তবে আর কারোর বিরুদ্ধে এ ধরনের ঠুনকো অজুহাতে হয়রানি করলে কঠিন কর্মসূচীর হুশিয়ারি দেন বক্তারা। ১৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত আলোচনা সভা, সেমিনার, গোলটেবিল বৈঠক চলবে। যদি কোন প্রকার আলোচনা ছাড়া জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন রিপোর্ট পেশ করে এবং যদি সেক্ষেত্রে জনস্বার্থের প্রতিফলন না ঘটে তবে ছাত্র জনতাকে সাথে নিয়ে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ তা বাস্তবায়ন করে ছাড়বে। সেক্ষেত্রে এই দুরভিসন্ধির অন্তরায় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচীর হুশিয়ার দেয়া হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
Theme Customized By BreakingNews