1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :

ডুমুরিয়ায় মহাসড়কের উপর কাঁচামালের আড়ৎ জনদুর্ভোগ চরমে

  • প্রকাশিত: শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৫২ বার পড়া হয়েছে

অরুণ দেবনাথ, ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি:: খুলনার ডুমুরিয়ায় হাইকোর্টের রায় অমান্য করে ও ব্যস্ততম মহাসড়কের সিমানা পিলার উপড়ে ফেলে কাঁচামালের আড়ৎ গড়ে উঠায় জনদুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বাসযাত্রী, পথচারী সহ সাধারণ মানুষ। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হচ্ছে পথচারীদের। আড়তটি স্থানান্তর করার জন্য জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন বাজার প্রতিষ্ঠাতা সহ এলাকাবাসী। সরেজমিনে গিয়ে একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে ও লিখিত আবেদন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ১৮ মাইল বাজার সংলগ্ন খুলন-সাতক্ষীরা ও যশোর -সাতক্ষীরা ব্যস্ততম মহাসড়কের দু’পাশে এ কাঁচামাল বাজারটি অবস্থিত। এখানে প্রতিদিন কাক ডাকা ভোরে আঠারমাইল,আরশনগর,মাগুরাঘোনা,কাঠালতলা,চাকুন্দিয়া,কুলবাড়িয়াসহ পাশ্ববর্তী তালা ও কেশবপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সকাল ৬টা-১০টা পর্যন্ত খুবই জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে বিভিন্ন ধরনের সবজি বেচাকেনা হয়। সড়কটি খুলনা সাতক্ষীরা ও বাইপাস পাইকগাছা সড়কের মিলনস্থল হ‌ওয়ায় স্থানটির গুরুত্বও অনেক বেশি।আর এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন খুলনা সাতক্ষীরা, খুলনা যশোর ও পাইকগাছার কয়েক হাজার যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাক, মাহেন্দ্রা, মটরসাইকেল সহ ছোট খাট যানবাহন চলাচল করে আসছে। কিন্তু সকালে মালামালের এত‌ই চাপ ও কৃষি পণ্য ক্রেতা বিক্রেতাদের ভীড়ে যানবাহন চলাচল তো দুরের কথা পথচারীরাও রাস্তা পার হতে হিমশিম খেতে হয়। অনেক সময় যাত্রীবাহী বাস ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে দাঁড়িয়ে থাকায় বিভিন্ন জেলা উপজেলার অফিসে যাওয়া চাকুরীজীবিরা সময়মতো অফিসেও যোগদান করতে পারেন না। এছাড়া এ স্থানে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন আবার অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চাকুরীজীবি বলেন, প্রতিদিন সকালে এখানে আসলে আমরা যানজটের কবলে পড়ি। যে কারণে অনেক সময় আমাদের অফিস টাইমে যেতে একটু দেরি হয়ে যায়।কাঁচামাল বাজার প্রতিষ্ঠাতা শেখ নুর ইসলাম কোহিনুর বলেন,ব্যস্ততম এ মহাসড়কের দু’পাশে কাঁচামাল বাজারে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে এবং বাজার চলাকালিন সময় যানজট লেগেই থাকে। এতে জনভোগান্তির শেষ নেই।এ নিয়ে প্রশাসন আমাদের কয়েক দফা সতর্ক করিয়েছেন।এ নিয়ে কথা হয় কাঁচা বাজার কমিটির সভাপতি আতিয়ার রহমান বিশ্বাসের সাথে। তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা প্রায় ১২ বছর ধরে রীতিমতো কর খাজনা দিয়ে এ আড়তে ব্যবসা করে আসছি। মহাসড়কের উপর বাজার বসানোর অনুমতি আছে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে জমির মালিকের সাথে কথা বলতে বললেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে খর্ণিয়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি মোঃ ফজলুর রহমান বলেন, হাইওয়ের উপর যানজট নিরসনে আমরা বাজার কমিটিকে বার বার তাগিদ দিয়েছি এবং আমাদের তদারকি অব্যাহত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলার বয়ারশিং সহকারি ভুমি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী আমার এসিল্যান্ড স্যার সহ আমরা মহাসড়কের সিমানা পিলার পুতে আসছিলাম জানিনা রাতের আধারে কে বা কারা সিমানা পিলার উপড়ে ফেলেছে উল্লেখিত বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট