নিজস্ব প্রতিনিধি:; খুলনা মহানগরীতে মশক নিধনকল্পে ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শনিবার নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে ওয়ার্ডের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ কঞ্জারভেন্সী বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে অনুষ্ঠিত সভায় প্রশাসক জনাব মো: ফিরোজ সরকার এ নির্দেশ প্রদান করেন। পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে জরুরী ভিত্তিতে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
সভায় পবিত্র রমজান মাসে কঞ্জারভেন্সী বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং খুলনা ওয়াসা কর্তৃক নতুনভাবে রাস্তা খনন বন্ধ এবং চলমান কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য পত্র প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এছাড়া ক্রাশ প্রোগ্রামের আওতায় মহানগরীকে দুইটি জোনে ভাগ করে প্রতিটি ওয়ার্ড এলাকায় দিনের পূর্বাহ্নে মশক প্রজনন ও ডিম ধ্বংসে লার্ভিসাইড এবং বিকেলে উড়ন্ত মশক নিধনে এডাল্টিসাইড স্প্রে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় প্রশাসক মশক নিধন কাজ সার্বক্ষণিক মনিটরিং করার জন্য ওয়ার্ডের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন এবং এ কাজে কারো শিথিলতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে প্রশাসক হুসিয়ারী দেন। মশার বংশ বিস্তার রোধে কেসিসি’র প্রচেষ্টার পাশাপাশি নিজ নিজ বাড়ির আঙিনা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য তিনি নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান। সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও মনিটরিং করার জন্য খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব লস্কার তাজুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মৌসুমী আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে মশক প্রজনন বৃদ্ধি পায়। এ বিষয়কে সামনে রেখে স¤প্রতি মশক নিধনকল্পে নতুনভাবে ঔষধ ক্রয় করা হয়েছে এবং সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের উপস্থিতিতে ঔষধের গুণগত মান পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ঔষধের কার্যকারিতা ও মান সঠিক পাওয়া যায়।
কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম, সচিব শরীফ আসিফ রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো: আব্দুল আজিজ, কঞ্জারভেন্সী অফিসার প্রকৌশলী মো: আনিসুর রহমান ও অহিদ্জ্জুামান খান সহ ওয়ার্ডের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সহকারী কঞ্জারভেন্সী অফিসারবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply