বেনাপোল প্রতিনিধ:: ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে ফ্যাসিবাদ নিপাত যাওয়ার প্রেক্ষাপটে সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি এনেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আওয়ামী সরকারের দমন-পীড়ন এবং দীর্ঘ সময় ধরে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা অবস্থায় থাকার কারণে দলটি যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল, তা কাটিয়ে উঠতে এবার সরাসরি জনগণের দ্বারপ্রান্তে যাচ্ছে দলটি। সে আলোকে আজ দুপুরে বেনাপোল বাজারে সহযোগী সদস্য ফর্ম পূরণ এবং শরবত পান করানো হয়
ঈদুল ফিতরের পর ‘গণসংযোগ পক্ষ’ শিরোনামে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি চালু করেছে জামায়াত, যা চলমান রয়ে। এর আওতায় সারাদেশে দাওয়াতি কার্যক্রম চালাচ্ছেন দলের নেতাকর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচির প্রথম দিনই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে নেতাকর্মীরা বেশ সক্রিয় ছিলেন। প্রচারপত্র বিতরণ, পথসভা ও সরাসরি জনসংযোগের মাধ্যমে জামায়াতের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া এবং সহযোগী সদস্য ফর্ম পূরণ করা হচ্ছে।
যশোরের শার্শা থানার জামায়াতে আমির মো. রেজাউল ইসলাম বলেন “জামায়াতে ইসলামী কখনও ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচার কিংবা বিদেশি আধিপত্যের সঙ্গে আপোষ করেনি। এই সত্য উচ্চারণের কারণেই দলটির বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র ও দমননীতির প্রয়োগ হয়েছে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জামায়াত নেতা আলহাজ্ব ওসমান গনি, শিক্ষক ইলিয়াস আলী, আব্দুল ওয়াহেদ দুদু, মতিয়ার রহমান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আব্দুল্লাহর পিতা আব্দুল জব্বার।