খালিশপুর প্রতিনিধি :: সুদখোর ও মামলাবাজ রেবেকা আক্তার ওরফে সাগরিকার হাত থেকে বাঁচতে এবং তার কৃতকর্মের শাস্তি চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সোমবার বিকেলে খালিশপুর বাংলার মোড়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা সহ স্থানীয় সামাজিক ও বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে বক্তৃতা করেন।
এসময় বক্তারা বলেন, সুদখোর রেবেকা চেক জালিয়াতি সহ কৌশলে সুদের টাকা দিয়ে বিভিন্ন ভাবে জোরপূর্বক বেশি অর্থ আদায়, চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে খাটানো রেবেকার প্রধান টার্গেট।
ভুক্তভোগী চা দোকানি রেশমা বলেন, রেবেকার কাছ থেকে ২০২০ সালে ৩০,০০০/- টাকা নিলে একটি ফাঁকা চেক ও সোনার গহনা বন্ধক রাখতে হয় রেবেকার কাছে। পরবর্তীতে ধার দেনা করে রেবেকার ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করে। এ ব্যাপারে রেবেকা আক্তার ও রেশমা বেগম একত্রে মিলে বিজ্ঞ যুব মহানগর দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালত খুলনা বরাবর একটি মামলা নিষ্পত্তি ও প্রত্যাহারের আবেদন করেন গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে।
এসময় মানববন্ধনে সালমা বেগম বলেন, তিনি রাস্তায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমার বিরুদ্ধে কোর্টে আড়াই লক্ষ টাকার একটি মামলা করেন রেবেকা আক্তার। যা খালিশপুর থানায় মামলাটি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে । আমি আমার সন্তানকে নিয়ে খুবই কষ্টে দিনযাপন করি আমি এত টাকা নিয়ে কি করব ?
রেবেকা একই এলাকার আব্দুস সালামের ৪ সন্তানকে গুমের অভিযোগ দিয়ে হয়রানি মামলা করলে সে মামলাতেও রেশমা আক্তার মৌ তার ২ মাসের নবজাতক শিশু সন্তান সহ ও সালমা আক্তার জুলি ২ বোন ৪ মাসের অধিক সময় কারাভোগ শেষে জামিনে মুক্ত হলেও চিন্তায় চিন্তায় অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন জুলি। যে মামলা এখনো চলমান রয়েছে। এসব ব্যাপারে রেবেকা ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকেও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে সে । এখনো পর্যন্ত সুদখোর রেবেকার মিথ্যা হামলা মামলার ভয়ে অনেকেই রয়েছে এলাকা ছাড়া ।
বক্তারা আরো বলেন, রেবেকা নিজেই আত্মগোপনে থেকে তাদের পরিবারের কয়েকজনের নামে খালিশপুর থানায় একটি মানব পাচার মামলা দায়ের করে। যার নং ১০/২২। যে মামলাটি বিগত ৩ বছর যাবৎ এখনো চলমান রয়েছে বলে জানান তারা।
এদিকে রেবেকা আক্তার ওরফে সাগরিকার দুষ্টু চক্রের হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসন সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মানববন্ধনে অংশ নেয়া ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
Leave a Reply