নিজস্ব প্রতিনিধি:: খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো: ফিরোজ সরকার বলেছেন, মানব পাচার একটি অপরাধমূলক কাজ। ঘৃণিত এ কাজের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন। তিনি বলেন, অসচেতনতার কারণে মানুষ পাচারের শিকার হচ্ছে। সচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলে সমাজ থেকে এ অনাচার অনেকাংশে দূর করা সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কেসিসি প্রশাসক মঙ্গলবার সকালে শেরে বাংলা রোডস্থ নগর স্বাস্থ্য ভবনে মনোসামাজিক কাউন্সেলিং কর্ণারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় বেসরকারি সংস্থা উইনরক ইন্টারন্যাশনাল ও কারিতাস বাংলাদেশ ‘আশ^াস’ প্রকল্পের আওতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশস্থ সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উইনরক ইন্টারন্যাশনাল চার বছর মেয়াদী ‘আশ^াস’ প্রকল্পটি দশটি জেলায় বাস্তবায়ন করছে। খুলনা অঞ্চলে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে কারিতাস বাংলাদেশ। পাচারের শিকার নারী ও পুরুষদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে পুন:প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করাই এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। প্রকল্পের আওতায় পাচার হওয়া নারী-পুরুষদের মনোসামাজিক কাউন্সেলিং, স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসা, আইনি সহায়তা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনে সহায়তা করাই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। এ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নগর স্বাস্থ্য ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি মনোসামাজিক কাউন্সেলিং কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। কেসিসি প্রশাসক ফিতা কেটে ও ফলক উম্মোচনের মধ্য দিয়ে আজ এ কর্ণারের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেসিসি প্রশাসক জনহিতকর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং মানব পাচারের মত গর্হিত কাজ প্রতিরোধে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একই সাথে তিনি পাচারের শিকার হতে উদ্ধারপ্রাপ্ত নারী পুরুষকে যে কোন প্রয়োজনে কাউন্সেলিং কর্ণারে যোগাযোগ করার আহবান জানান।
কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্ততৃা করেন সচিব শরীফ আসিফ রহমান ও সিভিল সার্জন ডা. মোছা: মাহফুজা খাতুন। স্বাগত বক্তৃতা করেন উইনরক ইন্টারন্যাশনাল-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ও প্রকল্প পরিচালক দীপ্তা রক্ষিত, কাউন্সেলিং কর্ণার সম্পর্কে ধারণা উপস্থাপন করেন ‘আশ^াস’ এর সিনিয়র ম্যানেজার শেখ নাজমুল ইসলাম, এবং শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রভাষ চন্দ্র বিশ^াস। সমাপনী বক্তৃতা করেন কেসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শরীফ শাম্মিউল ইসলাম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কারিতাস বাংলাদেশের আঞ্চলিক পরিচালক আলবিনো নাথ। কেসিসি’র প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা মারুফ রশীদ, কালেক্টর অব ট্যাক্সেস মো: আব্দুল মাজেদ মোল্যা, প্রকল্পের সুবিধাভোগী শাহানারা আক্তার শানুসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রশাসক মো: ফিরোজ সরকার কেসিসি’র তত্ত্বাবধানে পরিচালিত খালিশপুর লাল হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
Leave a Reply