অরুন দেবনাথ, ডুমুরিয়া(খুলনা)প্রতিনিধি:: ডুমুরিয়া সদরে একমাত্র সরকারি বালিকা উচ্ছ বিদ্যালয়ে ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে ১ জনও নারী শিক্ষক না থাকায় ছাত্রীরা নানামুখি সমস্যায় ভুগছে। ভুক্তভোগী ছাত্রী ও অভিভাবকরা আশু সমাধান চান। সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অফিস সুত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়ায় নারী শিক্ষার বিকাশ ঘটাতে ১৯৭৮ সালে বাস স্ট্যান্ডের পাশেই ২ একর ৩৭ শতাংশ জমির ওপর বালিকা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং ১৯৮৮ সালে মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী কর্ণেল গাফ্ফার’র (বীরউত্তম) ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সরকারি করণ হয়। বিদ্যালয়টির শুরু থেকে সরকারি নিয়মানুসারে নারী শিক্ষক ছিলেন। কিš‘ সময়ের পরিক্রমায় নারী শিক্ষক অবসরে যেতে-যেতে বিগত ১ বছর আগে শ্রেণি শিক্ষক কাবেরি গাইন বদলি হওয়ার পর বিদ্যালয়ে আর কোনো নারী শিক্ষক নেই। এবং গত ১৭ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক সালমা রহমান অবসরে গেলে সমগ্র বিদ্যালয়টি নারী-শিক্ষক শুন্য হয়ে পড়েছে। এখানে উল্লেখ্য বিদ্যালয়টিতে কোনো সরকারি আয়া, পিয়ন ও অফিস সহকারিও নেই।
২’শ ৭৫ জন ছাত্রী’র এই বালিকা বিদ্যালয়ে ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে কোনো নারী শিক্ষক না থাকায় ছাত্রীরা বহুবিধ সমস্যায় ভুগছে। বিশেষতঃ যে-কোনো সময়ে মেয়েদের মাসিক-সহ নানাবিধ মেয়েলি সমস্যা দেখা দিলে তারা কথা বলার মতো কোনো ম্যাডাম না পেয়ে বিব্রতকর অব¯’ায় পড়ছে। তাছাড়া নারী অভিভাবকরাও স্কুলে যেয়ে আলোচনার সময় কিছুটা অ¯^¯ি’ বোধ করেন।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী অঙ্কিতা মল্লিক বলেন, আমরা প্রত্যেকেই মেয়ে। আমাদের যে-সব সমস্যা হয়, তা সব-সময় স্যারদের সঙ্গে শেয়ার করা যায় না। অনেক সময় মনের কথা বলার জন্যেও একজন ম্যাডাম একান্ত জরুরি দরকার। ১০ শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতুল মাওয়া বলেন, কাবেরি ম্যাম চলে যাওয়ার পর থেকে আমাদের স্কুলে আর কোনো ম্যাম(নারী শিক্ষক) আসেনি। আমরা গার্লস স্কুলে পড়ি কিন্তু আমাদের একজনও ম্যাম নেই। ১০ শ্রেণির ছাত্রী অথৈ রাহা’র অভিভাবক কাকলি রানী শিল বলেন, মেয়েদের স্কুলে ১ জনও মেয়ে(নারী) শিক্ষক নেই, এটা খুবই দুঃখজনক। মেয়েদের সমস্যায় কথা বলারও কোনো উপায় নেই। তাই অবিলম্বে বিদ্যালয়ে ২-৩ জন নারী শিক্ষক দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাছি।ডুমুরিয়া সরকারি বালিকা উ”চ বিদ্যালয়’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রতন বিশ্বাস বলেন, গত ৩০ জুন আমি দায়িত্বে এসে প্রথমে শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল করার চেষ্টা করছি। আমাদের বিদ্যালয়ে নারী শিক্ষক না থাকায় খুবই বিব্রত হ”িছ। পাশাপাশি ভৌত বিজ্ঞান(পদার্থ-রসায়ন) পড়ানোর শিক্ষকও জরুরি প্রয়োজন। ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সরকারি বালিকা উ”চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, বিষয়টি স্পর্শকার। নারী শিক্ষক পদায়নের জন্য আমি সরকারের কাছে লিখবো।মাধ্যমিক ও উ”চ-শিক্ষা, খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমার দৃষ্টিতে যখন এনেছেন, তখন আমি প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নেবো।