আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘের বৈশ্বিক ক্ষুধা ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা আইপিসি।
শুক্রবার সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজা গভর্নরেটের মানুষ খাদ্যের তীব্র অভাবে ভুগছেন। এর মধ্যে রয়েছে গাজা সিটি ও তার আশপাশের এলাকা।
আইপিসি খাদ্য সংকটের মানদণ্ডে গাজা সিটিকে তাদের ‘পঞ্চম ধাপ’-এ উন্নীত করেছে। এই ধাপ খাদ্য সংকটের সর্বোচ্চ স্তর হিসেবে গণ্য হয়।
সংস্থার মতে, গাজা সিটি ও আশপাশের মানুষ এখন অনাহার এবং চরম দারিদ্র্যে ভুগছেন এবং খাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পাচ্ছেন না।
আইপিসি আরও জানিয়েছে, গাজার দেইর এল-বালাহ এবং খান ইউনুস শহরও ধীরে ধীরে একই সংকটের দিকে এগোচ্ছে। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে এই দুই শহরে দুর্ভিক্ষ শুরু হতে পারে। এর ফলে গাজার ৫ লাখেরও বেশি মানুষ খাদ্য সংকটে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এছাড়া গাজার মোট জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ বা প্রায় ১০ লাখ ৭ হাজার মানুষ ‘ধাপ-৪’-এ রয়েছেন। তারা খাদ্য জরুরি অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। অপরদিকে ৩ লাখ ৯৬ হাজার মানুষ বা জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ ‘ধাপ-৩’-এ রয়েছেন এবং তারা খাদ্য সংকটে পড়ার ঝুঁকির মধ্যে আছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েল বর্বর হামলা চালানো শুরু করে এবং সঙ্গে সঙ্গে অবরোধ আরোপ করে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এরফলে মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে।
সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার মানুষ যখন খাদ্য অভাবে ভুগছে, তখনই ইসরায়েল হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং গাজা সিটিকে ধ্বংসের হুমকি দিচ্ছে।
আইপিসি এমন পরিস্থিতি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো এই প্রথমবার। সংস্থা সতর্ক করেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত পদক্ষেপের অভাব মানবিক সংকটকে আরও তীব্র করবে।