নিজস্ব প্রতিবেদক:: জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলসহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে ৪টি প্যালেন এবং ২০ জন প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৪টায় মওলানা ভাসানী হলে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রদল।
ছাত্রদল ছাড়া অন্য তিন প্যানেল হলো: ‘সম্প্রীতির ঐক্য’, ‘সংশপ্তক পর্ষদ’ ও জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট সমর্থিত ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’। তারা নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, পক্ষপাতমূলক আচরণ ও অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল মনোনীত সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শেখ সাদী হাসান বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ, ভোটার তালিকা, ব্যালট প্রক্রিয়া—সবখানে অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্ব হয়েছে।’
ছাত্রদল মনোনীত জিএস পদপ্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী অভিযোগ করেন, ‘তাজউদ্দীন আহমদ হলে আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ভোটার তালিকায় ভোটারদের ছবি ছিল না। ২১ নম্বর হলে ছাত্রশিবিরের সহায়তায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়। জাহানারা ইমাম হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। নির্বাচন পুরোপুরি নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। জামায়াত নেতার সরবরাহকৃত ওএমআর মেশিন আমরা চিইনি। ওই প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত ব্যালটেই ভোট হচ্ছে।’
এক লিখিত বক্তব্যে ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী স্মরণ এহসান বলেন, ‘এই নির্বাচন যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে হচ্ছে না। আমরা এই নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করছি। তারা শুরু থেকেই আমাদের আস্থা, ভরসা ও আকাঙ্ক্ষার জায়গা নষ্ট করেছে। সকাল থেকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে নানা ধরনের অনিয়ম ও অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে।’
তাদের মতে, এই অনিয়মের শুরু হয়েছে ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের আরেক ভিপি প্রার্থী অমর্ত রায়ের প্রার্থিতা জোরপূর্বক ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাতিল করার মধ্য দিয়ে।
সেই ধারাবাহিকতায় আজ ভোটগ্রহণের চূড়ান্ত দিনেও প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
অনিয়মের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ‘সংশপ্তক পর্ষদ’। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাকসু নির্বাচনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদপ্রার্থী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সংগঠক সোহাগী সামিয়া সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা কারণগুলো লিখিত আকারে জানাচ্ছি।’
সংশপ্তক পর্ষদের অভিযোগ, ১৫ নম্বর ছাত্রী হল কেন্দ্রে ছাত্রী সংস্থার মেয়েদের জাল ভোটের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোট দেওয়ার জায়গায় আগে থেকে পূরণ করা ব্যালট পাওয়া গেছে। শহীদ সালাম বরকত হলে ভোটার সংখ্যা ২৯৯ জন হলেও ভোটকেন্দ্রে মোট ৪০০টি ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে। ভোটার তালিকায় ছবি যুক্ত করা হয়নি। যে-কেউ এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছে। রফিক-জব্বার হলে তার প্রমাণও মিলেছে।