পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি:: খুলনার পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের বাঁকা বাজারের সঙ্গে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুরকে সংযুক্ত করা একমাত্র সেতুটি ভাঙনের মুখে পড়েছে। যার বর্তমান অবস্থা খুবই করুণ ও নাজুক অবস্থা। কপোতাক্ষ নদের প্রবল স্রোতে সেতুটির দুই পাশের পিলারের নিচের মাটি ধসে পড়েছে। এতে ১৯৯২ সালে নির্মিত এ পুরোনো সেতুটি যেকোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, যশোরের কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলার কারণেই সেতুটি আজ ঝুঁকির মুখে। মূলত কপোতাক্ষ নদ খনন প্রকল্প-২ এর আওতায় আশাশুনির বড়দল থেকে তালা উপজেলার শালিখা পর্যন্ত নদ খনন করা হলেও রক্ষণাবেক্ষণে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা, আসাদুল ইসলাম, তোফাজ উদ্দিন ও শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা এলাকাবাসী সারাক্ষণই একটা অজানা আতংকের মধ্যে থাকি। যেকোনো সময় ব্রিজটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া ব্রিজের দু-সাইডে রাস্তা সরু হয়ে জায়গা স্বল্পতার কারণে ভারী যানবাহন নিয়ে উঠতে যেয়ে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা কবলে পড়তে হচ্ছে পথচারী সহ স্থানীয়দের।
তারা এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত এ ব্রিজের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গত বছর বর্ষার অতিরিক্ত পানির চাপে স্থানীয়রা পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্রিজের নিচ দিয়ে একটি ক্যানেল কাটেন। সময়ের ব্যবধানে সেটি এখন পূর্ণাঙ্গ নদীতে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে ইতোমধ্যেই নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে কয়েকটি দোকানঘর ও বসতভিটা সহ বহু গাছ-পালা। বর্তমানে ঝুঁকিতে রয়েছে পুরো সেতুটি।
স্থানীয় অনেকে বলেন, এই সেতুটি ভেঙে পড়লে এ অঞ্চলের মানুষের খুলনা-ঢাকা সহ আশপাশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। সাথে দুর্ঘটনাও তো একটি বিষয়। এতে বাড়বে জনভোগান্তি। অতএব এ ধরনের যে কোনো দুর্ঘটনার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকেই দায় নিতে হবে।
এ বিষয়ে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জি বলেন, ব্রিজের নিচে ও চারপাশে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। যেসব স্থানে ধস দেখা দিয়েছে, সেখানে সংস্কারকাজ চলছে। যাতে যোগাযোগ স্বাভাবিক থাকে, সে বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।