দাকোপ প্রতিনিধি::নাশকতা মামলার এজাহার নামীয় আসামী ও খুলনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডলের পুত্র দীপ্ত মন্ডল (৩৪) সাতক্ষিরা ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। ধৃত আসামীকে আজ ১৪ মেপ্টেম্বর সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। থানা পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, গত ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর দাকোপ থানায় উপজেলা যুবদলের কর্মী মোঃ ইকরামুল শেখ বাদী হয়ে তৎকালিন ক্ষমতাচুত্য আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের ৬১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা নামা আরো দেড়শত থেকে দুইশত নেতাকর্মীর নামে নাশকতা মামলা দায়ের করেন। থানায় যাহার মামলা নং-৫। উল্লেখিত দায়েরকৃত মামলার এজাহার নামীয় আসামী দীপ্ত মন্ডল। তিনি উপজেলার ৪নং কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বাসিন্দা ও খুলনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডলের একমাত্র পুত্র। ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পরবর্তী সময় এজাহার নামীয় এ আসামী দীপ্ত মন্ডল আতœগোপনে চলে যান। আসামী দীপ্ত মন্ডল গত ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় ভারত থেকে বাংলাদেশের প্রবেশ মুখের সাতক্ষিরা ভোমরা স্থল বন্দর ইমিগ্রেশনে পৌঁছান। এ সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ দীপ্ত মন্ডলকে আটক করেন। ঘটনার দিন রাতেই ভোমরার স্থল বন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ ধৃত দীপ্ত মন্ডলকে দাকোপ থানা পুলিশের কাছে হ¯াÍন্তর করেছেন। দাকোপ থানা পুলিশ নাশকতা মামলায় এজাহার ভুক্ত আসামী দীপ্ত মন্ডলকে আজ ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেছেন।
নাম প্রকাশ অনিচ্চ’কশর্তে একাধিক স্থানীয়রা জানান এবং এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে ধৃত দীপ্ত মন্ডলের পিতা ননী গোপাল মন্ডল দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকবার সাবেক সভাপতি,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং সর্ব শেষ তৎকালিন খুলনা-১ আসন তথা (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) উপজেলার সংসদীয় আসনে ২০০৮ সালে এবং ২০২৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে জয় লাভ করেন। সাতক্ষিরা ভোমরা স্থল বন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে ধৃত দীপ্ত মন্ডলের পিতা ননী গোপাল মন্ডল সংসদ সদস্য হওয়ার কারণে তার নানা অপকর্ম বেড়ে যায়। বিশেষ করে দীপ্ত মন্ডলের পিতা সর্ব শেষ ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় সে বেপরোয়া হয়ে উঠে। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জন্য উপকূলীয় এ উপজেলার অসহায় মানুষের জন্য সরকার কৃর্তক বরাদ্ধ ছিলো ১২শত ট্যাঙ্কি। যাহার প্রতিটি ট্যাঙ্কি ৩ হাজার লিটারের। আর এ সব ট্যাঙ্কি পেতে হলে এলাকার শতশত মানুষকে দীপ্ত মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করতে হয়েছে। প্রতিটি ট্যাঙ্কিতে দীপ্ত মন্ডলকে দিতে হয়েছে ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে কখনো কখনো ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। দীপ্ত মন্ডলের অনুরোধে দেওয়া ট্যাঙ্কির প্রকৃত সংখ্যা জানা না গেলেও তিনি এ ট্যাঙ্কির মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে এমনটি জনশ্রুতি রয়েছে এলাকায়।
দাকোপ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান,দাকোপ থানায় দায়েরকৃত নাশকতা মামলার এজাহার নামীয় আসামী দীপ্ত মন্ডল ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করে। আসামী দীপ্ত মন্ডলকে আজ ১৪ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।