বেনাপোল প্রতিনিধি:: যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল স্থলবন্দরের চেকপোস্টে কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ কুলি শ্রমিককে বাদ দিয়ে নতুন করে গ্রীন লজিস্টিকস যাত্রী সেবা নামে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বেনাপোল চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে এবং কাষ্টমস হাউজে লাগেজ বহনে নিয়োগ দেওয়ার প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মতো মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২১সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন প্রায় দুই শতাধিক কুলি শ্রমিক।
কুলি সর্দার ইউসুফ আলী জানান, আজ স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর থেকে আমরা এ বন্দরে কুলির কাজ করে আসছি। এই কুলির কাজ করে সংসার চালায়। সন্তানদের লেখা পড়া করায়। আমাদের অন্যকোন কর্ম নেই। সম্প্রতি বন্দর কর্তৃপক্ষ স্থানীয় কুলি শ্রমিকদের বাদ দিয়ে গ্রিন লজিস্টিক নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিতে যাচ্ছে। এটা হলে তিন শতাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। এটা যদি হয় তাহলে আমাদের চুরি করে অথবা ভিক্ষা করে সংসার চালানো ছাড়া অন্যকোন রাস্তা নেই। বর্তমানে আমরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি কখন না জানি কাজটা হাত ছাড়া হয়ে যায়।
শ্রমিকদের অভিযোগ, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নতুন নিয়ম অনুযায়ী যাত্রীদের স্বাগত সেবা ১৫০ টাকা, ব্যাগ বহন ১৫০ টাকা, ল্যাগেজ র্যাপিং ১৫০ টাকা, ফাস্ট ট্র্যাক ১০০ টাকা, জরুরি সহায়তা ৫০ টাকা, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যাত্রী সেবা ২০০ টাকা, ডিজিটাল সুবিধা ৫০ টাকা ও সেবা চার্জ ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ পাসপোর্টধারী যাত্রীদের লাগেজ বহন করে আমরা ব্যাগ ভেদে ৫০-১৫০ নিয়ে থাকি।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, গ্রীন লজিস্টিকস নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতকারি পাসপোর্ট যাত্রীদের লাগেজ বহনের জন্য কিছু শ্রমিক (কুলি) নিয়োগের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে তা কার্যকর করা হবে।