আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: কলকাতায় টানা বৃষ্টিতে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কলকাতা ও আশপাশের শহর।
সোমবার রাতভর প্রবল বৃষ্টিতে শহরের বহু এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বেনিয়াপুকুর, কালিকাপুর, নেতাজি নগর, গড়িয়াহাট, একবালপুর, বেহালা এবং হরিদেবপুরে আলাদা ঘটনায় এই ৭ জনের মধ্যে অন্তত তিনজন বিদ্যুৎস্পর্শে মারা গেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ ও পূর্ব কলকাতায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে শহরের যান চলাচলে ব্যাপক ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। রেল ও মেট্রো জনের মধ্যে প্রভাবিত হয়েছে। নিচু এলাকাগুলোর অনেক ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে, ফলে ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্রের ক্ষতি হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে কয়েকটি স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কলকাতা পৌর করপোরেশনের তথ্যমতে, গড়িয়া কামদাহারিতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৩৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যোধপুর পার্কে ২৮৫ মিলিমিটার, কালীঘাটে ২৮০ মিলিমিটার, তোপসিয়ায় ২৭৫ মিলিমিটার এবং বালিগঞ্জে ২৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণেই এই প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। তারা জানিয়েছে, শহরে আরও বৃষ্টি হতে পারে।
দুর্গাপূজার মাত্র কয়েকদিন আগে এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে শহরজুড়ে। এদিকে, জলাবদ্ধতার কারণে কলকাতা বিমানবন্দরেও বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন, বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো জানিয়েছে, আজ ফ্লাইট বিলম্বিত হতে পারে।
কলকাতার মেয়র ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, শহর করপোরেশন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য খাবার ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যদি বৃষ্টি বন্ধ থাকে, তবে আজ রাতের মধ্যেই পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে।