বেনাপোল প্রতিনিধি:: যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন বাজারে সরকারি খাদ্য গুদামে নিম্ন মানের চাল রাখা ও ধান ক্রয়ের হিসাবে গড়মিল থাকার অভিযোগে খাদ্য গুদামে ঝটিকা অভিযান চালিয়েছে দূর্নীতি দমন কমিশন। গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জামসেদ ইকবালুর রহমানকে কাগজপত্র নিয়ে যশোর দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অফিসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোম্বর) বিকালে দুদক যশোরের সহকারী পরিচালক আল-আমীন এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা যায়, শার্শা উপজেলায় ১৭টি রাইস মিল থেকে ১২ হাজার ৬১৬ মেট্রিক টন
চাল ক্রয় করেছেন।সেখান থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জামসেদ ইকবালুর রহমান প্রতি কেজি চাউল থেকে ৬০ পয়সা করে কমিশন নিয়েছেন ও ধান ক্রয় করেছেন ১ হাজার ৫৬ মেট্রিক টন। সেখানেও কমিশন খেয়েছেন। এ ধরণের অভিযোগের ভিত্তিতে যশোর দুদকের সদস্যরা ঝটিকা অভিযান চালিয়েছেন।
দুদক যশোরের সহকারী পরিচালক আল-আমীন সাংবাদিকদের বলেন, অনিয়মের অভিযোগে যশোরের শার্শার নাভারণ বাজারের খাদ্য গুদামে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানের সময় ৪,৫, এবং ৬ নম্বর গোডাউনে নিম্ন মানের চাউল পাওয়া গেছে। এ সময় গেলো অর্থবছরে ধান ক্রয়ের কোন হিসাব ও তিনি দেখাতে পারেননি। এ অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে দুদক অফিসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এলাকার অনেকেই জানিয়েছেন শুধু খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জামসেদ ইকবালুর রহমান নয়। খাদ্যগুদামের উপপরিদর্শক ফারজানার নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট ও খাদ্য গুদামে নানান ধরনে অপরাধ করে থাকেন।
Leave a Reply