অরুণ দেবনাথ, ডুমুরিয়া(খুলনা) প্রতিনিধি:: স্বল্প সময়ে উচ্চ ফলনশীল নতুন জাত ব্রি ধান-১১০-এর চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরাও। নতুন জাত ব্রি ধান-১১০ এ রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম। এছাড়াও অন্যান্য জাতের তুলনায় বেশি ফলন হওয়ায় ব্রি ধান-১১০ চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। কৃষকদের মাঝে নতুন এই জাতের বীজ ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট কাজ করে যাচ্ছে।
এই ধান খুলনার ডুমুরিয়ায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের উদ্ভাবিত ব্রি- ১১০ আশার আলো দেখাচ্ছে এ অঞ্চলের চাষিদের।
কয়েকজন কৃষক জানান, স্বল্প সময়ে উচ্চ ফলনশীল নতুন জাত ব্রি ধান-১১০-এর চাষ করে বাম্পার ফলন পাবেন এমন আশাবাদী কৃষকেরা। এই জাতের ধানে রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম। তুলনামূলক সার-কীটনাশক কম লাগায় উৎপাদন খরচ কম হয়। একর প্রতি ধান ৬৫ থেকে ৭৫ মণ। ১১০ ধান বপনের পর এই ধান উঠতে সময় লাগে মাত্র ১২০ থেকে ১২৫ দিন। আগাম জাতের এ ধান আবাদ হওয়ায় খুশি এই চাষি।
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়ন টিপনা গ্রামের আদর্শ কৃষক মন্জুর রহমান জানায়, উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের ব্রি ধান-১১০ আবাদ করেছেন ৪ একর জমিতে। ফলন ভালো হয়েছে। এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ইনসাদ ইবনে আমিন তুহিন বলেন, সাধারণ কৃষকদের মাঝে নতুন উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বীজ উৎপাদন করছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং এই ধান বন্যা সহিংস ১০/১৫ দিন পানিতে তলিয়ে থাকলেও কোন পচন আসেনা।