
দাকোপ প্রতিনিধি:: দাকোপে চরম অব্যবস্থাপনা আর অনিয়মের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৫৪ তম জাতীয় সমবায় দিবস। দিবস পালনে আছে সরকারী বরাদ্দ, সমিতির কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে লক্ষাধীক টাকা অথচ গেঞ্জিতে একটি ব্যাংকের প্রচারনায় ক্ষুদ্ধ সমবায়ীরা।
দাকোপে এ বছর ৫৪ তম জাতীয় সমবায় দিবস পালনে চরম অব্যবস্থাপনা অনিয়ম আর অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে দিবস উপলক্ষ্যে দুটি বাকা তেড়া (ষ্ট্যান্ড) বাঁশে ঝুলতে দেখা যায় জাতীয় পতাকা ও সমবায় পতাকা। বিষয়টি দেখে তাৎক্ষনিক উপস্থিত সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করলে দ্রুত সেটি বদলে ফেলা হয়। দিবসটি পালনে সরকারী বিশেষ বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও উপজেলার সকল সচল সমিতি গুলো থেকে আদায় করা হয় লক্ষাধীক টাকা। যে টাকার কোন হিসাব সমবায়ীদের জানানো হয়নি বলে অভিযোগে জানা যায়। অথচ দিবস পালনে ব্যবহার করা গেঞ্জি গুলো অত্যান্ত নি¤œ মানের। সে গুলোতে আবার সৌজন্যে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সৌজন্যে লেখা দেখা যায়। যেটা দেখে সকল সমিতির সদস্য সমবায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রতি বছর দিবসে সফল সমবায়ীদের বিশেষ সম্মাননা ও পুরুস্কার দেওয়া হয়। কিন্তু এ বছর সেটি না দেওয়ায় অংশ নেওয়া সমিতি গুলো তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলার অন্যতম সফল দীগন্ত বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি আঃ বারিক শেখ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ১ সপ্তাহ আগে দিবস উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভায় আমাদের ডাকা হয়। যেখানে আমার সমিতির পক্ষ থেকে দিবস উপলক্ষ্যে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দেওয়া হয়। অন্যান্য সকল সচল সমিতি চাঁদা দিয়ে অংশ নেয়। সেখানে কথা ছিল গেঞ্জিতে উপজেলা প্রশাসনের নাম থাকবে। তাহলে কেন সেখানে কেবল মাত্র অগ্রযাত্রা সমিতি এবং ব্যাংকের নাম সৌজন্যে ব্যবহার হবে। এ ছাড়া দিবসের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রন জানালেও সেখানে বিএনপির সাথে অমর্যাদাকর বৈষম্য মূলক আচারন করা হয়েছে এমন দাবী করেছেন চালনা পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক শেখ মোজাফ্ফার হোসেন। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মিজানুর রহমান চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই দাবী করে বলেন, অনুষ্ঠানের আগেই পতাকার ষ্ট্যান্ড হিসাবে ব্যবহ্নত বাঁশ বদলে ফেলা হয়। এ ছাড়া অন্যান্য অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
Leave a Reply