নিজস্ব প্রতিবেদক:: নির্বাচন কমিশন (ইসি) ৬৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চূড়ান্ত নিবন্ধন দিয়েছে। এছাড়া ১৬টি সংস্থার বিষয়ে দাবি-আপত্তি জানতে চেয়ে ১৫ কার্যদিবস সময়ের মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন এসব তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য ৭৩টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রাথমিক তালিকা নির্ধারণ করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। ওই সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে যেকোনো দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ ২০ অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে লিখিতভাবে জমা দিতে বলা হয়েছিল। অভিযোগের স্বপক্ষে সহায়ক প্রমাণও জমা দিতে বলা হয়েছিল।
দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির পর ৬৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ইসি জানায়, বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে নিবন্ধিত ৯৬টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫-এর ধারা ১৬ মোতাবেক স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়েছে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী নিবন্ধনে আগ্রহী যোগ্যতা সম্পন্ন বেসরকারি সংস্থাসমূহকে দরখাস্ত জমা দিতে বলা হয়েছিল।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি এবং আবেদন ফরম (EO-1) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখায় (কক্ষ নং-১০৫) এবং ইসির ওয়েবসাইট www.ecs.gov.bd-তে পাওয়া যাবে।
এর আগে, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০২৩ সালে পুরনো নীতিমালা বাতিল করে নতুন নীতিমালা জারি করা হয়। আগামীতে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোকে নিবন্ধিত করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পর্যবেক্ষক নিবন্ধন প্রথা শুরু হয়। সেই সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পায় এবং নির্বাচনে ১,৫৯,১১৩ জন দেশি পর্যবেক্ষক ভোট দেখেন। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৫টি সংস্থার ৮,৮৭৪ জন, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮১টি দেশি সংস্থার ২৫,৯০০ জন এবং ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮০টির মতো সংস্থার ২০,২৫৬ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।