ডেস্ক:: রাজধানীর পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সোমবার সকাল ১০টা ৫৩ মিনিটে প্রকাশ্যে গুলিতে নিহত হয়েছেন তারিক সাঈদ মামুন (৫৬)। তিনি তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তারিক সাঈদ মামুনকে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপের গুলিতে হত্যা করা হয়েছে। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী বলেন, গুলির ঘটনায় নিহত ব্যক্তির নাম তারিক সাঈদ মামুন।
তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন। আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী ক্যাপ্টেন ইমন গ্রুপের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে। আজ তিনি আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বের হওয়ার পথেই দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
এদিকে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করে মামুনের খালাতো ভাই হাফিজ বলেন, আমার ভাই তারিক সাঈদ মামুন একজন সাধারণ মানুষ। কী কারণে তাকে হত্যা করা হলো আমি জামি না। সে কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত না। কারা তাকে হত্যা করেছে, কী কারণে করেছে আমার জানা নেই।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেলের ওয়ার্ড মাস্টার মহিবুল্লাহ বলেন, আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের সামনের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। শব্দ শুনে হাসপাতালের মেইন গেটের সামনের এসে ওই ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখি।
সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। তবে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সকাল ১০টা ৫২ মিনিট। ন্যাশনাল হাসপাতালের গেইটে লোকজনের স্বাভাবিক আনাগোনা। ১০টা ৫৩ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে হঠাৎ সাদা চেক শার্ট পরিহিত একজন হাসপাতালের দিকে দৌড়ে ঢুকছিলেন।
পেছন থেকে মুখে মাস্ক ও ক্যাপ পরিহিত দুজন প্রকাশ্যে গুলি করতে করতে হাসপাতালের ভেতর চলে আসেন। মাত্র ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ডে কয়েক রাউন্ড গুলি করে তারা মুহূর্তেই চলে যান। এ ঘটনার পর আশপাশের লোকজন এদিক-সেদিক ছোটাছুটি শুরু করেন।
প্রসঙ্গত, নিহত তারিক সাঈদ মামুন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী এবং সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই শহীদ সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলার আসামি। এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মামুনকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। ওই ঘটনায় মামুন আহত হলেও পথচারী ভুবন চন্দ্র শীল নিহত হন।