নকীব মিজানুর রহমান,বাগেরহাট থেকে : “ন্যায়সঙ্গত ও ন্যায্য রূপান্তরের জন্য তরুণদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের আহ্বান” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বাগেরহাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক ২০২৫। এক্টিভিস্টা বাগেরহাট, একশনএইড বাংলাদেশ ও বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার যৌথ আয়োজনে এবং গ্লোবাল প্লাটফর্ম বাংলাদেশের সহযোগিতায় শুক্রবার সকালে শহরের দশানী ট্রাফিক মোড়ে এ স্ট্রাইক অনুষ্ঠিত হয়। এতে শতাধিক তরুণ জলবায়ু কর্মী, স্থানীয় সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকরা অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারীরা রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ডে জলবায়ু ন্যায়বিচার, নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ, জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ, এবং টেকসই ভবিষ্যতের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তরুণরা জানান, বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় ন্যায্য ও সমতাপূর্ণ রূপান্তর ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
এসময় এক্টিভিস্টা বাগেরহাটের সদস্য সুমিত ভট্টাচার্য বলেন, “উপকূলীয় এলাকা জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় শিকার। এখনই সময় তরুণদের নেতৃত্বে নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের। তরুণরাই জলবায়ু ন্যায়বিচারের নেতৃত্ব দিতে পারে।”
ইয়ুথ হাব বাগেরহাটের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, “জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তাদের জন্য সবুজ কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জলবায়ু অভিযোজন প্রকল্পে বাজেট বৃদ্ধি এবং স্থানীয় পর্যায়ে ন্যায্য রূপান্তরের নীতিমালা বাস্তবায়ন জরুরি।”
এফএফসিআরজে এর সভাপতি মাহফুজ মাঝি বলেন, “জলবায়ু সংকট কোনো দূরের সমস্যা নয়—এটি আজকের বাস্তবতা। তরুণদের নেতৃত্বে গড়ে উঠা এই আন্দোলন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আশা জাগায়। আমরা চাই, কপ ৩০ যেন গ্লোবাল সাউথের জনগণের জন্য ন্যায্য ও ফলপ্রসূ সিদ্ধান্তের মঞ্চ হয়”
আয়োজকরা জানান, দেশের অন্যান্য জেলার মতোই বাগেরহাটের তরুণরা গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক-এ অংশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী তরুণ আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে। একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় আয়োজিত এই কর্মসূচি তরুণদের জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিকে আরও জোরালো করেছে।
তারা আশা প্রকাশ করেন, তরুণদের নেতৃত্বে এই আন্দোলন বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বে ন্যায়সঙ্গত, সবুজ ও টেকসই রূপান্তরের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।