আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর প্রথমবারের মতো অবস্থান জানালো ভারত।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে।
সোমবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বিবৃতিটি প্রকাশিত হয় এবং সন্ধ্যায় মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সামাজিকমাধ্যম এক্সে তা শেয়ার করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে ভারত বাংলাদেশের জনগণের শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি ও স্থিতিশীলতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।
আরও বলা হয়, এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা সব পক্ষের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করে যাব।
বিবৃতির কোথাও শেখ হাসিনার নাম বা ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করা হয়নি। তবে বিবৃতির ভাষা বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয়—দিল্লি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, কিন্তু প্রকাশ্যে কোনো কঠোর অবস্থান নিচ্ছে না।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ তাদের ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ উপস্থাপন করে।
সেখানে বলা হয়, শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী, অভিযোগ–২ এ মৃত্যুদণ্ড, অভিযোগ–১ এ আমৃত্যু কারাদণ্ড, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড, সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন রাজসাক্ষী হওয়ায় কম সাজা পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আদালত মন্তব্য করে যে, জুলাই আন্দোলনে নিরস্ত্র মানুষের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের যথেষ্ট প্রমাণ উপস্থাপিত হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের বিবৃতিটি অত্যন্ত পরিমিত ও সতর্ক যেখানে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা রক্ষার কথাই মূল বার্তা হিসেবে উঠে এসেছে। সরাসরি রায়কে সমর্থন অস্বীকার কোনোটিই না করে বিষয়টি ‘অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার প্রতি সম্মান বজায় রাখা হয়েছে।
রায়ের পরপরই পলাতক দণ্ডিতদের ফেরত পাঠাতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এখন নজর দিল্লির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী কূটনৈতিক পদক্ষেপে।