নিজস্ব প্রতিবেদক:: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে আসন্ন নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। এটি নির্বিঘ্ন, উৎসবমুখর এবং সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠিত করতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূস এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা শিগগিরই একটি নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি। এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের দিকে যাত্রা করবো। সেটিই আমাদের স্বপ্ন। এই নির্বাচন যেন আনন্দমুখর, উৎসবমুখর ও সর্বাঙ্গসুন্দর হয় এবং আমাদের সুষ্ঠুভাবে দেশের জন্য নতুন যাত্রাপথ শুরু করতে সাহায্য করে, সেই লক্ষ্য নিয়ে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।”
সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি দেশ গঠন ও জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনী সর্বদাই জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং চলমান দেশ পুনর্গঠন ও সংস্কারকাজেও তারা মানুষের আস্থার প্রতিদান হিসেবে অব্যাহতভাবে দায়িত্ব পালন করছে। গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক নেতৃত্বের প্রতি অনুগত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী তাদের পেশাগত দক্ষতা, দেশপ্রেম ও ত্যাগের মাধ্যমে দেশের জন্য এই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখবে।”
তিনি আরও বলেন, “একটি শান্তিপ্রিয় জাতি হিসেবে আমরা সব বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্মানজনক সহাবস্থানে বিশ্বাসী। তথাপি, যেকোনো আগ্রাসী বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমাদের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। এ জন্য আধুনিকায়ন, উন্নত প্রশিক্ষণ এবং যুগোপযোগী প্রযুক্তি সংযোজন অব্যাহত রয়েছে।”
অধ্যাপক ইউনূস জানান, বিগত ৩৭ বছরে জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা ৪৩টি দেশে ৬৩টি মিশন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ১০টি মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা নিয়োজিত। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে পরিচিত।
তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, “বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা যেন বিশ্বের চ্যালেঞ্জিং ও বিপদজনক পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়, সেজন্য তাদের সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ অব্যাহত রাখতে হবে।”