নিজস্ব প্রতিবেদক:: রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশালে ভূমিকম্পের সময় একটি ভবনের ছাদ ধসে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাফিউল ইসলাম রাফি মারা গেছেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মা নুসরাত বেগমের সঙ্গে মহিষের মাংস কিনতে গিয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
ভূমিকম্প শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই কসাইটুলির নয়নের মাংসের দোকানের সামনে পাঁচতলা ভবনের রেলিং ভেঙে পড়ে ক্রেতাদের ওপর। রাফি ও তার মা নুসরাতসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক রাফিকে মৃত ঘোষণা করেন।
মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাজহারুল ইসলাম খান বলেন, নুসরাতের মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে, তাকে সেলাই দিতে হয়েছে। তিনি শঙ্কামুক্ত কি না, তা ২৪ ঘণ্টা পর বলা যাবে। এখনও তাকে ছেলের মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি, কারণ এই অবস্থায় তিনি এই ধাক্কা সামলাতে পারবেন না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নুসরাত কিছুক্ষণ পরপরই ছেলের খোঁজ নিচ্ছেন। তাকে বলা হয়েছে ছেলে আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন, কিন্তু তিনি মাঝেমধ্যেই হাউমাউ করে কাঁদছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের সময় হঠাৎ পাঁচতলা একটি ভবনের রেলিং ধসে পড়ে। এ সময় মায়ের সঙ্গে বাজার করছিলেন রাফি। ভবনের একটি ইট তার মাথায় পড়লে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় রাফির মাও গুরুতর আহত হন।
নিহত রাফিউল ইসলাম বগুড়া শহরের গোহাইল রোডের সূত্রাপুর এলাকার ওসমান গনির ছেলে। তারা দুই ভাই-বোন। রাফিউলের বাবা দিনাজপুরে চাকরি করেন। হলে সিট পেলেও মা ও বোনের সঙ্গে বংশালের বাসায় থাকতেন তারা।
এ ঘটনায় নিহত বাকি দুজন হলেন আব্দুর রহিম (৪৮) ও তার ছেলে মেহরাব হোসেন রিমন (১২)। তারা রাজধানীর সুরিটোলা স্কুলের পেছনে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী। ভূমিকম্পটিকে মাঝারি মাত্রার বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।